ইবির পুকুর থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার: ‘রহস্যজনক’ বলছেন স্বজন-সহপাঠীরা

ইবির আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহর মৃত্যুরহস্য উন্মোচনে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জিয়াউর রহমান হল প্রশাসন। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠনের কাজ চলছে। 

আজ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মসজিদে সাজিদের জানাজায় অংশ নিতে এসে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামান। 

তিনি বলেন, 'সাজিদ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হলে থাকতেন। হল প্রশাসন ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠনের কাজ চলমান। সাজিদের ময়নাতদন্ত হয়ে গেছে। সব কিছুর প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আমরা প্রকৃত ঘটনা জানতে পারব।' 

ইবির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদের বাড়ি টাঙ্গাইলে। তার বাবা আহসান হাবিবুল্লাহ দেলোওয়ার একটি মাদ্রাসার সুপারেনডেন্ট। 

ছেলের জানাজায় অংশ নিয়ে আহসান হাবিবুল্লাহ বলেন, 'আমার ছেলের মৃত্যু রহস্যজনক। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।'

এর আগে, গতকাল বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সাজিদের মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে ভাসতে দেখেন শিক্ষার্থীরা। পরে ইবি থানা পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করে ক্যাম্পাস মেডিকেলে নিয়ে যায়।

সাজিদের মৃত্যুকে রহস্যজনক হিসেবে দেখছেন জানাজায় অংশ নেওয়া সহপাঠীরা। 

সাজিদের ঘনিষ্ঠ ইবির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াহেদ বিন আসাদ বলেন, 'পানিতে ডুবে কেউ মারা গেলে সাধারণত তার লাশ উপুড় হয়ে থাকে, কিন্তু সাজিদের মরদেহ ছিল চিত হয়ে। এ ছাড়া, পানিতে ডুবে কেউ মারা গেলে তার পেটসহ শরীর ফুলে যায়। কিন্তু সাজিদের শরীরে আমরা তেমন কোন লক্ষণ দেখিনি। এজন্য এই মৃত্যুকে আমরা রহস্যজনক মনে করছি।' 

সুরতহাল প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক হোসেন ইমাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাথমিকভাবে সাজিদের শরীরে অপমৃত্যুর কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে ভিসেরা রিপোর্ট আসার পর আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারব।'
 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus thanks foreign medical teams for treating Milestone crash victims

A delegation of 21 physicians and nurses from Singapore, China, and India met Yunus at Jamuna

6h ago