ভারত শুধু স্বৈরাচারকে মনে রেখেছে, বাংলার মানুষকে মনে রাখেনি: তারেক রহমান

তারেক রহমান | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেশী দেশের (ভারত) সঙ্গে আমাদের যেসব অন্যায্য চুক্তি আছে, সেগুলো বাতিল করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলের তিস্তা নদীর পারের পাঁচটি জেলার ১১টি পয়েন্টে তিস্তার পানির ন্যায্য হিসসা ও মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে টানা ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের জনগণ মনে করে, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবেশী দেশ থেকে আর অন্যায্যতা দেখতে চায় না, ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ আর দেখতে চায় না।

তিনি বলেন, আগস্টে খুনি স্বৈরাচারি দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এই স্বৈরাচার একদিন একটি কথা বলেছিল—ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা (ভারত) সারা জীবন মনে রাখবে। তাই এই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত শুধু স্বৈরাচারকে মনে রেখেছে, বাংলার মানুষকে মনে রাখেনি। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে কিছু দেয়নি, শুধু দিয়েছে স্বৈরাচারকে। প্রতিটি দেশেরই তাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বা ঝামেলা থাকে। কিন্তু সেগুলো কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা হয়৷ যেটা আমাদের এখানে এতদিন হয়নি।

তারেক রহমান বলেন, প্রতিবেশী দেশ যদি আমাদের তিস্তা ন্যায্যতা না দেয়, তাহলে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। আমাদেরটা আমাদেরই চিন্তা করতে হবে। দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।

তিনি বলেন, তিস্তার ন্যায্য পানি আদায়ের জন্য আজ আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। এ পানি বণ্টন নিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশ অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করছে। ৫০ বছর ধরে ফারাক্কার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পায়নি। এখন আবার এসেছে তিস্তার অভিশাপ।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিস্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখবে উল্লেখ তারেক রহমান বলেন, 'পাশাপাশি দেশের অন্যান্য যেসব নদী আছে, সেগুলো পুনরায় সংস্কার ও খনন করতে হবে। শহীদ জিয়ার সেই খালখানন কর্মসূচি আমাদেরকে পুনরায় হাতে নিতে হবে।'

স্বৈরাচার সরকার গত ১৫টি বছরে নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'স্বৈরাচার ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষের সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি হয়েছে। সরকারের কোনো হঠকারী সিদ্ধান্তে বা আমাদের অসতর্কতায় যেন খুনি ফ্যাসিস্ট সরকারের কেউ পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না পায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেখেছে মানুষের ঐক্যবদ্ধতা—কীভাবে সবাই একটি সংকটে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। আপনারা যেভাবে বলেছেন, জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও; একইভাবে আমাদের বাংলাদেশের সবাইকে বলতে হবে, জাগো বাহে বাংলাদেশ বাঁচাও।'

Comments

The Daily Star  | English

BNP struggles to rein in the rogues

Despite repeated warnings from the top leadership and disciplinary measures, the BNP appears to be failing to maintain control over its rank and file, with leaders and activists across the country allegedly involved in crimes ranging from extortion to rape and murder.

8h ago