ইউক্রেন যুদ্ধের শেষ চাইলে পুতিনের সব শর্ত পূরণ করতে হবে: মস্কো

ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে যুদ্ধে থাকা দুই দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই আলোচনায় রাশিয়ার দাবি, এই সংঘাতের অবসান চাইলে প্রথমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সব শর্ত পূরণ করতে হবে।

সোমবার এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় জড়িত মস্কোর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতির একটি ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে। তিনি বলেছেন, নির্বাচিত হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থামিয়ে দেবেন এই যুদ্ধ।

কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ২০ দিনেও এই বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। গতকাল রোববার ট্রাম্প দাবি করেছেন, আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি এসেছে। কিন্তু এই সংকট কীভাবে সমাধান করবেন, এখনো তা উল্লেখ করেননি তিনি।

মস্কোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত জুনে পুতিনের দেওয়া দাবিগুলোই এখনো শান্তি আলোচনা শুরুর আগে তাদের প্রাথমিক শর্ত।

মস্কোতে সংবাদ সম্মেলনে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, পুতিনের দাবিগুলোর পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করে এই সংকটের কোনো 'রাজনৈতিক সমাধান' সম্ভব না।

'আমরা এখন এই অবস্থানেই আছি। যত তাড়াতাড়ি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং অন্যান্য দেশ তা বুঝবে, তত তাড়াতাড়ি প্রত্যাশিত রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব হবে,' যোগ করেন তিনি।

১৪ জুনের বক্তৃতায় পুতিনের দুটি শর্ত দিয়েছিলেন। এক, ন্যাটো সদস্যপদের আশা ছাড়তে হবে ইউক্রেনকে। ভবিষ্যতে কখনো ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। দুই, যুদ্ধে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

জুনে এই শর্তগুলোকে 'পূর্ণ আত্মসমর্পণের সমান' বলে অভিহিত করে কিয়েভ। ২০২২ সালে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য তোড়জোড় করে আসছে ইউক্রেন। যুদ্ধে রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

2h ago