তামিম আপ্লুত ও দুঃখিত

সকাল থেকেই এক আবেগঘন দৃশ্য। বেলস পার্কের নির্ধারিত মঞ্চে প্রায় ৫০ হাজার ভক্ত-সমর্থক উপস্থিত হয়েছিল তাদের প্রিয় দল ফরচুন বরিশালকে একঝলক দেখার জন্য। কিন্তু ভক্তদের এই অগাধ ভালোবাসাই শেষ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করে দেয় বিজয় উৎসব। যে কারণে হয়নি পুরো অনুষ্ঠান। তাতে উল্টো ক্ষেপে যান ভক্ত-সমর্থকরা।
বিপুল সংখ্যক সমর্থকের উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত হলেও অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে লিখেছেন, 'প্রিয় বরিশালবাসী, আমরা আপ্লুত ও দুঃখিত। আপ্লুত আপনাদের ভালোবাসা ও উন্মাদনা দেখে। লাখো মানুষের এমন জোয়ার জীবনে দেখিনি আমরা। দুঃখিত আপনাদের সঙ্গে আরো বেশি সময় কাটাতে না পেরে। তবে এবারই শেষ নয়। আপনাদের সমর্থন, ভালোবাসা ও দোয়া সঙ্গে থাকলে, দেখা হবে আবার।'

টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শিরোপা জিতে রোববার বিকেলে বিমানে করে বরিশাল শহরে পৌঁছান তামিম-মুশফিকরা। বিমানবন্দর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরের বেলস পার্ক পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য ভক্ত তাদের উচ্ছ্বাসে স্বাগত জানায়। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে দলটি যখন বেলস পার্কে পৌঁছায় ততোক্ষণে নির্ধারিত সময়ের পেরিয়ে গেছে দুই ঘণ্টা।
স্বাভাবিকভাবেই অপেক্ষা করে সমর্থকরা ক্লান্ত। তবে অধিনায়ক তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে দলের খেলোয়াড়রা প্রবেশ করেন বেলস পার্কে, তখন মুহুর্মুহু করতালিতে মুখরিত হয় চারদিক, গগনবিদারী কণ্ঠে ধ্বনিত হয়— "বরিশাল! বরিশাল!" ক্লান্তি চলে যায় মুহূর্তেই।

কিন্তু তামিম-মুশফিকরা মঞ্চে উঠলেও থেকেছেন মাত্র কয়েক মিনিট। সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এই কারণেই। এক পর্যায়ে মঞ্চের সামনের বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। এমনকি সমর্থকদের দুয়ো থেকেও ছাড় পাননি খেলোয়াড়রা। এমন পরিস্থিতিতে ফের মঞ্চে উঠলেও স্বল্প সময় স্টেজে থেকে আবার নেমে যান তারা।
যে কারণে উৎসব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শেষ হয়নি অনুষ্ঠানও। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই, সন্ধ্যা ৫টার দিকে, খেলোয়াড়রা ভঙ্গুর ও গাদাগাদি করা মঞ্চ থেকে নেমে বাসে উঠে স্থান ত্যাগ করেন। আয়োজিত কনসার্টও শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়, যা হতাশ করে বিপুলসংখ্যক উপস্থিত দর্শককে।
Comments