টিকটক কিনতে এবার রাষ্ট্রায়ত্ত তহবিল খোলার নির্দেশ ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

আগামী এক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে একটি সভরেন ওয়েলথ ফান্ড বা সার্বভৌম সম্পদ তহবিল গড়ে তোলা হবে, যা ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকের মালিকানা নিতে সক্ষম হবে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মর্মে সোমবার একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  

এই তহবিল প্রতিষ্ঠিত হলে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অনেক দেশের মতো মার্কিন প্রশাসনও সরাসরি সরকারি অর্থে বিনিয়োগ করতে পারবে।

নির্বাহী আদেশে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ৯০ দিনের মধ্যে একটি পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই পরিকল্পনায় অর্থায়নের পদ্ধতি, বিনিয়োগ কৌশল, তহবিল কাঠামো এবং ব্যবস্থাপনার মডেল সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। 

সাধারণত একটি দেশের বাজেট উদ্বৃত্তের ওপর নির্ভর করে এমন তহবিল করা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বাজেট ঘাটতিতে রয়েছে। 

এই তহবিল প্রতিষ্ঠা করতে কংগ্রেসেরও অনুমোদন লাগতে পারে। 

এই তহবিল কীভাবে পরিচালিত বা অর্থায়িত হবে তা জানাননি ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে ট্রাম্প আগে বলেছিলেন, 'শুল্ক এবং অন্যান্য বুদ্ধিদীপ্ত উপায়ে' এর অর্থায়ন করা যাবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, 'এই তহবিলের জন্য আমরা প্রচুর সম্পদ তৈরি করব। এই দেশের একটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল তৈরির সময় হয়েছে।' 

এর আগে নির্বাচনী প্রচারণায় এমন সরকারি বিনিয়োগের ধারণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প, যার মাধ্যমে মহাসড়ক ও বিমানবন্দর নির্মাণের মতো অবকাঠামো প্রকল্প, উৎপাদন এবং চিকিৎসা গবেষণায় অর্থায়ন করা হবে।

অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট সাংবাদিকদের জানান, তহবিলটি আগামী ১২ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করা হবে।

নিউইয়র্ক টাইমস এবং ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, নির্বাচনের আগে বাইডেন প্রশাসনও এমন একটি তহবিল গঠনের চিন্তা করছিল। তবে এই তহবিলের কাঠামো কেমন হবে বা কীভাবে তহবিলের অর্থায়নের পরিকল্পনা করছিল ডেমোক্র্যাটরা, তা এখনো পরিষ্কার না।

সার্বভৌম তহবিলের মাধ্যমে টিকটক ক্রয়

ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই সম্পদ তহবিলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র টিকটক কিনে নিতে পারে।

গত ১৯ জানুয়ারি জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিকে কারণ দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ করে দেয় বাইডেন প্রশাসন। এর আগে টিকটকের চীনা মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা কোনো মার্কিন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি এই নির্দেশ মানতে ব্যর্থ হয়। 

২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা ৭৫ দিনের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প। 

নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের সময় ট্রাম্প বলেন, 'আমরা টিকটক নিয়ে কিছু করতে পারি। যদি ঠিকঠাক চুক্তি হয়, তাহলে আমরা করব (কিনে নেব)। নইলে করব না। হয়তো আমরা এটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের মাধ্যমে করব।' 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh, Japan for concluding EPA soon to boost economic, trade ties

Japanese PM Ishiba described Bangladesh as a long-standing friend and said that Japan would stand by Bangladesh in its endeavour for a democratic transition

3h ago