১ রানের অপেক্ষা ঘুচিয়ে ১০ হাজারে স্মিথ

ছবি: এএফপি

ক্রিজে গিয়ে মুখোমুখি হওয়া প্রথম ডেলিভারিতে প্রবাথ জয়সুরিয়াকে ফ্লিক করলেন স্টিভেন স্মিথ। বল লেগ সাইডে চলে যাওয়ায় সিঙ্গেল নিয়ে অপেক্ষার অবসান ঘটালেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটার।

সাদা পোশাকের সংস্করণে ৯৯৯৯ রানে স্মিথ আটকে ছিলেন তিন সপ্তাহের বেশি সময়। তিনি সবশেষ টেস্ট খেলেন চলতি মাসের শুরুতে, সিডনিতে ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে। ওই ম্যাচের আগে ১০ হাজারি ক্লাব থেকে কেবল ৩৮ রান দূরে ছিলেন তিনি। তবে সিডনিতে দুই ইনিংস মিলিয়ে স্মিথ করতে পারেন মোটে ৩৭ রান। প্রথম ইনিংসে ৩৩ রানে সাজঘরে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে বিদায় নেন ৪ রানে। ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাইলফলক থেকে স্রেফ ১ রানের দূরত্বে থামতে হয় তাকে।

দেশের মাঠে তাই ১০ হাজার টেস্ট রান উদযাপন করা হয়নি স্মিথের। সেই মুহূর্ত এলো বিদেশের মাটিতে, বুধবার গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে। মাইলফলক পূর্ণ হতেই দর্শকরা করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। স্মিথও ব্যাট উঁচিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ইতিহাসের মাত্র ১৫তম ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ১০ হাজার রান করার স্বাদ নিলেন স্মিথ। তার আগে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তিনজন। তারা হলেন রিকি পন্টিং (১৩৩৭৮ রান), অ্যালান বোর্ডার (১১১৭৪ রান) ও স্টিভ ওয়াহ (১০৯২৭ রান)। মজার ব্যাপার হলো, স্মিথসহ চারজনই অধিনায়ক থাকাকালীন ১০ হাজারি ক্লাবে নামে লিখিয়েছেন।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত এই সিরিজে অজিরা খেলছে নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ছাড়া। পারিবারিক কারণে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে সফরকারীদের নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে ৩৫ পেরোনো স্মিথকে।

২০১০ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়া স্মিথের এটি লাল বলের ক্রিকেটে ১১৫তম ম্যাচ। ১০ হাজার রান করতে তার লাগল ২০৫ ইনিংস। অর্থাৎ পঞ্চম দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। টেস্টে ৩৪টি সেঞ্চুরির সঙ্গে ৪১টি ফিফটি রয়েছে তার নামের পাশে।

প্রথম সেশন শেষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অজিদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪৫ রান। উসমান খাওয়াজা ক্রিজে আছেন ৯৮ বলে ৬৫ রানে। তার সঙ্গী স্মিথ খেলছেন ৫ বলে ২ রানে। খাওয়াজার সঙ্গে ৯২ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ট্রাভিস হেড ফেরেন ৫৭ রানে। আগ্রাসী ইনিংসে মাত্র ৪০ বল মোকাবিলায় হেড মারেন ১০টি চার ও একটি ছক্কা। মারনাস লাবুশেন থিতু হয়ে আউট হন ৫০ বলে ২০ রান করে।

Comments

The Daily Star  | English
changes in Bangladesh media industry

Allegiance shifts, so do faces at the helm

Bangladesh’s media industry has seen some major shake-ups, with more than two dozen outlets shuffling leadership positions following the July mass uprising last year.

18h ago