সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা চলছে
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকীতে কবির জন্মস্থান যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে মধুমেলার উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার। যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ মেলা চলবে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
মেলা উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে সাগরদাঁড়ি। কবির স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কপোতাক্ষ নদীর তীর, জমিদার বাড়ির আম্রকানন, বিদ্যাঘাট ও মধুপল্লীসহ মধুমেলা ময়দান এখন হাজারো ভক্ত-অনুরাগীর পদচারনায় মুখর হওয়ার অপেক্ষায়।
প্রতিবছরের মতো এবারও মেলার দর্শনার্থীদের জন্য মেলায় মধুমঞ্চে কেশবপুর ও যশোরের খ্যাতিমান কবি, লেখক ও শিল্পীদের পরিবেশনা থাকছে। আরও থাকছে সার্কাস, ম্যাজিক শো, নাগরদোলা ও স্টলে স্টলে কুটিরশিল্পের বাহারি সমাহার। থাকছে কৃষিমেলার আয়োজনও।
গতকাল মেলার প্রথম দিনে কপোতাক্ষ নদীর পাড়সহ মেলামাঠে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কৃষিমেলাতেও ছিল উপচে পড়া ভিড়।
সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন মধুসূদন দত্ত। বাবা জমিদার রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন কলকাতার দেওয়ানি আদালতের আইনজীবী।
মধুসূদন ছিলেন বাংলা সাহিত্যের যুগপ্রবর্তক কবি। তিনি তার কাব্যের বিষয় সংগ্রহ করেছিলেন প্রধানত সংস্কৃত কাব্য থেকে, কিন্তু পাশ্চাত্য সাহিত্যের আদর্শ অনুযায়ী সমকালীন ইংরেজি শিক্ষিত বাঙালির জীবনদর্শন ও রুচির উপযোগী করে তিনি তা কাব্যে রূপায়িত করেন এবং তার মধ্য দিয়েই বাংলা সাহিত্যে এক নবযুগের সূচনা হয়।
গতকাল মধুমেলার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
জাকির হোসেন বলেন, দর্শনার্থীদের মেলা উপভোগের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি প্রশাসনও তৎপর থাকবে।
Comments