অনশন প্রত্যাহার জবি শিক্ষার্থীদের, ‘শাটডাউন’ চলবে বুধবার পর্যন্ত

সচিবালয়ের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনশন। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে তারা ক্যাম্পাস শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি মেনে নিতে সম্মত হওয়ায় আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টার পর সচিবালয়ের সামনে থেকে অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

অনশনরত উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী একেএম রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, 'বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভায় প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হবে বলে আশ্বাস পেয়েছি। এছাড়া, অস্থায়ী আবাসনের বিষয়ে আলোচনা হবে। আমাদের তিনটি দাবির মধ্যে দুটি মেনে নেওয়া হয়েছে। তাই আমরা অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।'

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক নোটিশে জানায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প' শীর্ষক প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভা আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা ছাড়াও প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর, আবাসন সমস্যা নিরসন নিয়ে আলোচনা হবে বলে নোটিশে জানানো হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প সময়মতো শেষ করতে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে গতকাল সকাল থেকে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

আজ সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ও অনশন পালন করেন তারা।

পরে শিক্ষার্থীরা বিকেলে সচিবালয়ে যান এবং সেখানে অবস্থান নিয়ে অনশন চালিয়ে যেতে থাকেন।

রাকিব বলেন, 'যদিও আমরা অনশন প্রত্যাহার করেছি, তবে ক্যাম্পাস শাটডাউন থাকবে। বুধবারের সভার সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।'  

অপর দুটি দাবি হলো—শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত, কমপক্ষে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করা।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

3h ago