অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে ৩৪ বন্দীকে ছাড়তে প্রস্তুত হামাস, ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত

আবারও আলোচনায় এসেছে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার অস্ত্রবিরতি চুক্তি।

চুক্তির অংশ হিসেবে ৩৪ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো যুদ্ধবিরতির কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে হামাসের সূত্র দিয়ে এএফপি জানায়, 'বন্দী বিনিময় চুক্তির প্রথম পর্যায়ে' গাজায় আটক সব নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ বন্দীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, 'জীবিত থাকুক বা মৃত, ৩৪ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে হামাস। কিন্তু বন্দীরা যেখানে আছে, সেখানে যোগাযোগ করতে এবং জীবত-মৃতদের শনাক্ত করতে এক সপ্তাহের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন।'

বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার দাবি করেছে হামাস।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার সময় ইসরায়েল থেকে ২৫১ জনকে জিম্মি করে আনে হামাস। তাদের মধ্যে ৯৬ জন এখনো গাজায় অবস্থান করছেন। ৩৪ জিম্মি ইতোমধ্যে মারা গেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে গড়া ইসরায়েলি সংগঠন 'হোস্টেজস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম' সোমবার এক বিবৃতিতে সব বন্দীর মুক্তি নিশ্চিত করে একটি চুক্তি করার দাবি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমরা জানি জিম্মিদের অর্ধেকেরও বেশি এখনো জীবিত। তাদের তাৎক্ষণিক পুনর্বাসন প্রয়োজন। আর যারা মারা গেছেন, তাদের সঠিকভাবে দাফনের জন্য ফেরত আনতে হবে।'

'আর সময় নষ্ট করার উপায় নেই। এখনই বন্দী মুক্তি চুক্তি সই করতে হবে!'

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে সোমবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, যে বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাদের অবস্থা (জীবিত না মৃত) সম্বন্ধে কিছু জানায়নি হামাস।

হামাস জানিয়েছে, জুলাইয়ে ইসরায়েলের দেওয়া এক তালিকা থেকেই বন্দীদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত তারা।

গত বছরের শুরু থেকেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলে আসছে। জাতিসংঘে উত্থাপিত প্রায় প্রতিটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবেই ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ ছাড়া, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় প্রায় প্রতিটি প্রস্তাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজার অবরুদ্ধ অঞ্চলগুলোতে ফিলিস্তিনিদের ফিরে আসার প্রস্তাব নাকচ করেছেন নেতানিয়াহু।

Comments

The Daily Star  | English

University student unions: Student bodies split over polls timing

With Dhaka and Jahangirnagar universities gearing up for student union elections, the student bodies are now sharply divided over when the polls should be held.

7h ago