দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে: মির্জা ফরুখল

ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের সামনে আমরা মাথা নত করবো না। সবখানে বৈষম্য রয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে। বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে জনগণের সরকার যেন প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।'

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঠাকুরগাঁও পাবলিক মাঠে অনুষ্ঠিত ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, '১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। তারা তখনো সারা দেশে লুটপাট, ষড়যন্ত্র, হত্যা, গুম করে ক্ষমতায় টিকে ছিল এবং তাদের দুঃশাসনে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।'

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনি জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় ও দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দেয়।'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলেন। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নে বহু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।'

তিনি বলেন, 'গত ১৫ বছরে বিগত সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসসহ দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অসংখ্য ছাত্রকে হত্যা করেছে। কিছুদিন আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তারা কয়েক হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তখন আমাদের মাঝে নতুন একটা সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে, সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আজ আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছাত্র ও জনতার ঐক্য।'

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, 'সবার আগে পড়াশোনা করে ভালো ফলাফল করা এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানো জরুরি। সেইসঙ্গে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার দিকে লক্ষ্য রেখে জাতীয়তাবাদী দলের লক্ষ্য ও অর্জনকে আরও শক্তিশালী করে জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Gas crisis hits households, industries

Inadequate gas supply has been forcing Farzana Akter and Rabiul Islam to eat at restaurants every morning for two weeks.

8h ago