চট্টগ্রামে প্রাথমিকে ৪০, মাধ্যমিকে ৩ শতাংশ বই পেল শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে ঘরে ফেরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এবার কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটেছে।

আজ বুধবার থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও পর্যাপ্ত নতুন বই এখনো পৌঁছায়নি চট্টগ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে।

এখন পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরের ৪০ শতাংশ ও মাধ্যমিকের তিন শতাংশ বই পৌঁছেছে শিক্ষার্থীদের হাতে।

দেশে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতি, পাঠ্য বইয়ে নতুন বিষয় সংযোজন-বিয়োজন ও পাঠ্যবই ছাপানোর কার্যাদেশ দিতে দেরি হওয়ায় বছরের প্রথম দিনে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিনামূল্যের পাঠ্যবই পায়নি শিক্ষার্থীরা।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুততম সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেবেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুর রহমান বলেন, 'চট্টগ্রামের চার হাজার ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ১০ লাখ চার হাজার ৬৩২ জন। আর এবার নতুন বইয়ের চাহিদা ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ১৮৭ কপি।'

'এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে দুই লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৬, বাংলা মাধ্যমের চাহিদা ৪০ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৬ ও ইংরেজি মাধ্যমে ৮৮ হাজার ৫৮৪ কপির চাহিদা আছে,' জানান তিনি।

আবদুর রহমান আরও বলেন, 'এ ছাড়া, চট্টগ্রামের স্কুলগুলোতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ৩০৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য তাদের মাতৃভাষায় লেখা বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৬৭১ কপি, যা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও নগরের পাঁচলাইশ থানা শিক্ষা অফিসের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়।'

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী—চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মাতৃভাষায় লেখা বই পায়। রহমান জানান, এবার এখনো এই বইগুলো চট্টগ্রামে আসেনি।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাথমিক স্তরে এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ বই এসেছে।'

চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, চট্টগ্রামে মাধ্যমিক স্তরে এক কোটি ৭৪ লাখ কপি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। চট্টগ্রামে বই এসেছে কেবল ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির। তবে সব বিষয়ের বই এখনো আসেনি।

চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খিসা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাধ্যমিকে মাত্র তিন শতাংশ বই আমরা হাতে পেয়েছি।'

চট্টগ্রামের মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের ছাপাখানা চট্টগ্রামে। সাগরিকা প্রিন্টার্স ও আল মক্কা প্রিন্টার্স—দুটি প্রতিষ্ঠান বই ছাপানোর কাজটি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির সাতটি, সপ্তম শ্রেণির তিনটি ও দাখিলে সপ্তম শ্রেণির তিন বিষয়ের বই সরবরাহ করেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির কিছু বই আসবে বলে জানিয়েছেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

9h ago