বুমরাহর তোপের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরোধ, শেষ দিনে রোমাঞ্চের আভাস

নিতিশ কুমার রেড্ডির বীরত্বপূর্ণ ইনিংসের পর দারুণ এক স্পেলে ভারতকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখিয়েছিলেন জাসপ্রিট বুমরাহ। ইতিহাস সেরা গড়ে টেস্টে ২০০ উইকেট স্পর্শের দিনে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস চেপে ধরেছিলেন তিনি। তবে তার তোপ সামলে তিনশো ছাড়ানো লিড নিয়ে নিয়েছে স্বাগতিক দল।

রোববার মেলবোর্নে হয়েছে দুই দলের তুমুল লড়াই। হাতে ১ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ৩৩৩ রানে। চতুর্থ দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৮ রান। যার মধ্যে ৫৬ রানে ৪ উইকেট নেন বুমরাহ। একাধিক ক্যাচ মিস,  নো বল না হলে অজি ইনিংস মুড়ে পাঁচ উইকেট পেতে পারতেন তিনি।

ভারত ৩৬৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ১০৫ রানের লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে বড় লিড নিয়েও স্বস্তিতে থাকতে পারেনি তারা। কারণ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে আতঙ্ক ছড়ান বুমরাহ। এক পর্যায়ে ৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। যার মধ্যে ৩০ রানে ৪ উইকেট দখল করেন বুমরাহ।

বিশের নিচে গড় নিয়ে দুইশো উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করে রেকর্ড গড়েন তিনি। বুমরাহর তোপের পর অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়ায় মারনাশ লাবুশানে আর প্যাট কামিন্সের জুটিতে। ৭ম উইকেটে ১১৬ বলে ৫৭ রান যোগ করেন তারা। ৭০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে লাবুশানে ফেরেন মোহাম্মদ সিরাজের বলে। খানিক পর মিচেল স্টার্ক দ্রুত কাটা পড়েন রান আউটে।

নবম উইকেটে আবার ন্যাথান লায়নকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন কামিন্স। অজি কাপ্তান যোগ করেন ১৭ রান। ৯০ বলে ৪১ করে তিনি স্লিপে ক্যাচ দেন রবীন্দ্র জাদেজার বলে।

স্কট বোল্যান্ডকে নিয়ে শেষ উইকেট জুটিতেও ভারতকে হতাশা বাড়াচ্ছেন লায়ন। ১১০ বলে ৫৫ রান তুলে এখনো অবিচ্ছিন্ন তারা। দিনের শেষ ওভারে এই উইকেট ভেঙে ইনিংস মুড়ে ফেলার সুযোগ এলেও নো বলের হতাশায় পড়েন বুমরাহ। লায়ন স্লিপে ক্যাচ দিলে তা দুই পায়ের ফাঁকে আটকে ধরেন লোকেশ রাহুল, লায়নও হাঁটা ধরেছিলেন। কিন্তু পরে দেখা যায় ওভারস্টেপে নো বল করেছেন বুময়াহ। দিনের শেষ বলে চার মেরে ভারতকে আরও হতাশা দেন লায়ন।

শেষ দিনে ভারত কিংবা অস্ট্রেলিয়ার জয় অথবা ড্র, সবগুলো ফলই এখনো সম্ভব। তাই অপেক্ষা রোমাঞ্চের।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago