ইউক্রেনের হাতে ধরা পড়েছে আহত উত্তর কোরীয় সেনা, দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার

উত্তর কোরীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিম জং উন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
উত্তর কোরীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিম জং উন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন এক আহত উত্তর কোরীয় সেনা। জানা গেছে, এই আহত সেনা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে সমর্থন জানাতে পিয়ংইয়ং থেকে পাঠানো বাহিনীর অন্যতম সদস্য।

আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

ডিসেম্বরে পিয়ংইয়ং রাশিয়াকে সহায়তা করতে সেনা মোতায়েনের পর তিনিই প্রথম উত্তর কোরীয় সেনা হিসেবে কিয়েভের হাতে ধরা পড়লেন। আটক সেনার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে এক আহত উত্তর কোরীয় সেনার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংস্থাটি।

কিয়েভ ও সিউলের দাবি মতে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সাহায্য করতে ১০ হাজারেরও বেশি সেনা পাঠিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তবে মস্কো বা পিয়ংইয়ং এই ঘটনার সত্যতা স্বীকারও করেনি, অস্বীকারও করেনি।

ইউক্রেনীয় বাহিনী দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ভুয়া রুশ পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। যার ফলে তাদের আসল পরিচয় জানা, বা এমন কী, যুদ্ধক্ষেত্রে তাদেরকে চিহ্নিত করাও ঝামেলাপূর্ণ হয়েছে।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত উত্তর কোরীয়দের পরিচয় লুকাতে রুশ সেনারা তাদের মুখ পুড়িয়ে দিচ্ছেন।

তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই নিয়ে রয়টার্স কোন তথ্য জানায়নি।

সোমবার জেলেন্সকি আরও দাবি করেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের যুদ্ধে তিন হাজারেরও বেশি উত্তর কোরীয় সেনা হতাহত হয়েছেন।

তিনি মস্কো-পিয়ংইইয়ংয়ের  পারস্পরিক সহযোগিতার এই ধারাকে কোরীয় উপদ্বীপে 'অস্থিতিশীলতা' সৃষ্টির গুরুতর হুমকি হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানান।

উত্তর কোরীয় সেনা সংক্রান্ত যুদ্ধক্ষেত্রের এসব দাবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও যথাযথ তথ্য-প্রমাণ বা যাচাই বাছাইয়ের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

7h ago