অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির খান

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, হাওরে অলওয়েদার সড়ক নির্মাণের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে কাজ করছে সরকার।

আজ শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অলওয়েদার সড়ক ঠিক রেখে বন্যা মোকাবিলায় নদীগুলো ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পুন:খননের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উপদেষ্টা বলেন, 'হাওরের উপজেলার সঙ্গে একদিকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সংযোগ এবং সিলেটের সঙ্গে সংযোগ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখা হবে। বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনে হাওরের নদীগুলো ড্রেজিং করা হবে।'

তিনি বলেন, 'সড়কটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে। যেহেতু সড়কটা হয়ে গেছে, তাই এর ভালো-মন্দ নিয়ে আলোচনা করে   সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এখন থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না। মানুষের সঙ্গে কথা বলে মানুষ যেটা চায়, মানুষের যেটা প্রয়োজন আমরা সেটাই করবো। কারণ, দেশের জনগণের পাশাপাশি ২৪-এর আন্দোলনের ছাত্র-জনতার প্রতি দায়বদ্ধতা আছে আমাদের।'

এর আগে সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে সড়কপথে হাওরের ইটনা উপজেলায় যান তিনি। ইটনা উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করেন।

কিশোরগঞ্জ থেকে সড়কপথে ইটনা উপজেলা যাওয়ার সময় ইটনা–মিঠামইন–অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়ক পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাকে যুক্ত করে হাওরের মাঝখান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৩০ কিলোমিটার অলওয়েদার সড়ক। গত ২৩ নভেম্বর সিলেটে আয়োজিত এক কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছিলেন, সিলেটের নদ–নদীর অবাধ পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে ও বিভাগটিকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে অলওয়েদার সড়কের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হতে পারে। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলসহ সর্বত্র আলোচনা হচ্ছিল।

৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কটি ২০২০ সালের অক্টোবরে উদ্বোধন করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Has IMF experiment delivered?

Two years after Bangladesh turned to the International Monetary Fund (IMF) for a $4.7 billion bailout to address its worsening macroeconomic pressures, the nation stands at a crossroads.

9h ago