ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মাইকেল চাকমার অভিযোগ

মাইকেল চাকমা, শেখ হাসিনা, গুম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, শহিদুল আলম,
মাইকেল চাকমার সঙ্গে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। ছবি: সিরাজুল ইসলাম রুবেল

পাঁচ বছর গুম করে রাখার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন মাইকেল চাকমা।

আজ বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

পাঁচ বছর নিখোঁজ থাকার পর গত ৭ আগস্ট বাড়িতে ফেরেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল চাকমা।

অভিযোগে মাইকেল চাকমা বন্দিদশায় কাটানো পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলামের কাছে তার এই বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তারা মাইকেল চাকমার অভিযোগ গ্রহণ করেছেন এবং শিগগিরই এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করবেন।

চিফ প্রসিকিউটরের কাছে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরার পর মাইকেল চাকমা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'কল্যাণপুর থেকে সাদা পোশাকধারী অন্তত সাত-আটজন আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। তারা আমার চোখ বেঁধে একটি মাইক্রোবাসে তুলেছিল। আমি গাড়ির ভেতর একটি ওয়াকিটকি শনাক্ত করতে পেরেছিলাম।'

'প্রথমে তারা আমাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে এবং পরে আরও দুটি কক্ষে নিয়ে যায়। যেখানে আমাকে নির্যাতন করা হয়। ২০১৩ সালে শেখ হাসিনার খাগড়াছড়ির সমাবেশে অংশ নেওয়ার সময় কেন সড়ক অবরোধ করা হয়েছিল, তারা আমাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সমাবেশের দিন আমাদের ছাত্র সংগঠনের সমর্থকরা একটি সড়ক অবরোধ করলে সমাবেশ কয়েক ঘণ্টা বিলম্বিত হয়। সেদিন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, যারা সমাবেশে বাধা দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

বিশিষ্ট আলোকচিত্রী, অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিক শহিদুল আলম এবং অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ মাইকেল চাকমার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Poll irregularities: Sedition among 3 new charges added against three ex-CECs

BNP filed a case against 24 individuals, including three former chief election commissioners, 10 election commissioners, and top government and police officials, for their alleged role in irregularities during national polls in 2014, 2018, and 2024

42m ago