বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে আপাতত কমিটি করছে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

BDR carnage
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ফাইল ছবি

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এসেছে সরকার।

আজ রোববার হাইকোর্টকে এ কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় বলছে, ওই ঘটনা নিয়ে আপিল বিভাগ এবং ঢাকা আদালতে দুটি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন। তাই প্রকৃত অপরাধী ও মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য আলাদা কোনো কমিটি করা হচ্ছে না।

একটি রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পেশ করেন।

এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেছেন বেঞ্চ।

এর আগে, গত ২ ডিসেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় হাইকোর্ট বেঞ্চকে জানিয়েছিল, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী ও মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য সরকার একটি স্বাধীন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

সরকারকে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এবং আগের নির্দেশনা মেনে আজকের তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

গত ৫ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী ও মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য কেন একটি জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা ব্যাখ্যা করতে একটি রুল জারি করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই কমিটি গঠনের জন্য আবেদনকারীদের আর্জি অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে রিট নিষ্পত্তি করার নির্দেশও দিয়েছিলেন।

আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠনের জন্য সরকারের নির্দেশ চেয়ে গত ২০ অক্টোবর আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব কুমার পোদ্দার জনস্বার্থে এ আবেদন দাখিল করেন। 
আবেদনে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে 'শহীদ সেনা দিবস' হিসেবে ঘোষণা করার আদেশ চেয়ে অনুরোধ জানানো হয়।
 
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার সদর দপ্তরে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা মামলায় ২০১৩ সালে বিশেষ আদালতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন এবং খালাস পায় ২৭৮ জন।

পিলখানার এই নির্মম ঘটনার পর বিডিআরের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে সংস্থাটি পুনর্গঠন করে 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)' নামকরণ করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Will protect investments of new entrepreneurs: Yunus

Yunus held a meeting with young entrepreneurs at the state guest house Jamuna where15 male and female entrepreneurs participated

5h ago