বিডিআর হত্যাকাণ্ডে উচ্চ আদালতে আপিল না থাকা খালাসপ্রাপ্তদের জামিন: পিপি

২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিম্ন আদালতে খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল না থাকলে জামিনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে ঢাকা মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, যাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় উচ্চ আদালতে কোনো আপিল বিচারাধীন নেই, শুধু তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে।

স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর জুয়েল মুন্সি সুমন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'প্রায় ২০০ আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আদালতের লিখিত আদেশ পাওয়ার পর সঠিক সংখ্যা বলা যাবে।'

'বিচারক বলেছেন যাদের বিরুদ্ধে এখন কোনো আপিল বিচারাধীন নেই তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় একটি মামলা করা হয় পরে একই বছরের ৬ এপ্রিল মামলাটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়।

২০১০ সালের জুলাই মাসে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত ১৫০ বিডিআর সদস্য এবং ২ বেসামরিক নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

এছাড়া, ২৫৬ জনকে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় যাদের বেশিরভাগই বিডিআর সদস্য। আদালত ২৭৮ জনকে খালাস দিলেও, রাষ্ট্রপক্ষ পরে ৬৯ জনের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে।

২০১৫ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স ও সাজাপ্রাপ্তদের আপিল শুনানি শুরু করে এবং ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর রায় দেন।

হাইকোর্ট রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেন এবং ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনের তিন থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন। এছাড়া, ২০০ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Awami League tenure: ACC probing 15yrs of financial irregularities

The Anti-Corruption Commission (ACC) has launched an investigation into alleged corruption by individuals, financial institutions, industrial groups, and loan defaulters during the Awami League’s 15-year tenure, which it claims led to the destruction of the country’s financial system.

5h ago