ইমাদের পর ফের অবসরের ঘোষণা দিলেন আমির

ছবি: এএফপি

গত মার্চে অবসর ভেঙে ইমাদ ওয়াসিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পরদিন একই ঘোষণা দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। দ্বিতীয়বারের মতো বিদায়ের বেলাতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার। বাঁহাতি অলরাউন্ডার ইমাদ ফের জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়ানোর পরদিন একই পথে হাঁটলেন বাঁহাতি পেসার আমির।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আবার অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আমির। তার ও ইমাদের সরে দাঁড়ানো বিবৃতি দিয়ে নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি)। তবে ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন দুজনই।

বিদায়ী বার্তায় ৩২ বছর বয়সী তারকা আমির এক্সে নিজের স্বীকৃত অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, 'সুচিন্তিত পর্যবেক্ষণের পর আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের কঠিন সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করেছি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ ছিল না, তবে অনিবার্য ছিল। আমি অনুভব করেছি, পরবর্তী প্রজন্মের হাতে ব্যাটন তুলে নেওয়ার এটাই সঠিক সময়, যারা পাকিস্তান ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।'

২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রথমবার অবসর নিয়েছিলেন আমির। কারণ হিসেবে তিনি সেসময় বলেছিলেন যে, তার প্রতি অবিচার করেছেন তৎকালীন প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুস। ভবিষ্যতে অবসরের সিদ্ধান্ত পাল্টানোর সম্ভাবনার কথাও তখন উল্লেখ করেছিলেন তিনি। চার বছরের ব্যবধানে আমির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সিদ্ধান্ত জানান গত ২৪ মার্চ। কিন্তু সেই অভিযান দীর্ঘ হলো না।

গত এপ্রিলে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াডে ফেরানো হয় আমিরকে। এরপর জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেন তিনি। পাকিস্তান গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও তার বোলিং পারফরম্যান্স ভালো ছিল। ৪ ম্যাচে ৪.৫০ ইকোনমিতে তিনি ৭ উইকেট শিকার করেন।

বিশ্বকাপের পর আর পাকিস্তানের জার্সিতে সুযোগ মেলেনি আমিরের। তাই গত ১৬ জুন লডারহিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ে থাকল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার শেষ অভিজ্ঞতা। ওই ম্যাচের পর ইমাদও ডাক পাননি দলে। অবসর ভেঙে ফেরার পর কেবল টি-টোয়েন্টিতেই খেলেন আমির। সব মিলিয়ে এই সংস্করণে ৬২ ম্যাচে ২১.৯৪ গড়ে তার শিকার ৭১ উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

Reform commission reports: Proposals seek to bring youths into JS

Reform commissions on the constitution and election process have both recommended measures that increase opportunities for the youth to run for parliament and become more involved in politics, sparking both hope and criticism.

8h ago