এস আলমের বিরুদ্ধে নারী উদ্যোক্তার অর্থ আত্মসাৎ মামলা

মোহাম্মদ সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নারী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম (মাসুদ) ও তার ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে মামলাটি করেন নাজমে নওরোজ নামের এক নারী ব্যবসায়ী। তিনি চট্টগ্রামে 'লা অ্যারিস্টোক্রেসি' ও 'ফিউশন ইট' নামের দুটি রেস্টুরেন্টের মালিক।

বাদীর আইনজীবী শুভঙ্কর ঘোষ শুভ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা। সেই সুবাদে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সাইফুল আলম বাদীকে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য তার মালিকানাধীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক নগরের কাজীর দেউড়ি মহিলা শাখা থেকে প্রথমে দুই কোটি টাকা ঋণ দেয়। এরপর কয়েক দফায় মোট ৩০ কোটি টাকা ঋণ দেয়। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই ঋণগুলো নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে সাইফুল আলম ওই নারীকে নিজের ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। আকিজ উদ্দিন ও সাইফুল আলম ব্যাংকে ঋণের বিপরীতে থাকা বাদীর সই করা খালি চেকের মাধ্যমে ও ধার হিসেবে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন ২৯ কোটি টাকা। গত ২২ জুলাই টাকাগুলো ফেরত চাইলে বাদীকে অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়।

মামলার বাদী নাজমে নওরোজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২৯ কোটি টাকা ফেরত চাইলে আকিজ উদ্দিন আমাকে গুম ও খুনের হুমকি দিতেন। তারা (এস আলম গ্রুপ) আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতদিন তাদের ভয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এখন আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।'

এ বিষয়ে জানতে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের ব্যক্তিগত সহকারী আজিজ উদ্দিনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ আর দেশে ফিরে আসেননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

এদিকে গত চার মাস ধরে পলাতক রয়েছেন সাইফুল আলম মাসুদের ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিনও। সেই কারণে তাদের কারো বক্তব্যই পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles, vandalise property

1h ago