এবার ব্যাটিংকেই দায় দিলেন মিরাজ

Mehidy Hasan Miraz
মেহেদী হাসান মিরাজ। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আগের ম্যাচে উইকেটের ধরণ বিচারে বাংলাদেশের কিছু রানের ঘাটতি থাকলেও ব্যাটিংয়ে কোন সমস্যা পাচ্ছিলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় ম্যাচে টপ আর মিডল অর্ডারের ধসের পর ব্যাটিংয়ের সমস্যা আর আড়াল করতে পারলেন না তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হারের কারণ হিসেবে ব্যাটিংকেই দায় দিয়েছেন তিনি।

সেন্ট কিটসে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ানডে হয় একদম একপেশে। বাংলাদেশকে ৭ উইকেট উড়িয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলে স্বাগতিক দল। টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (৩৩ বলে ৪৬) রান পেলেও বাকিদের ব্যর্থতায় ১১৫ রানে পড়ে যায় ৭ উইকেট। দেড়শো রানের ভেতর গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে দলকে এরপর টানেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। টেল এন্ডার তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে গড়েন ৯২ রানের জুটি। তার ৬২ রানে ভর করে ২২৭ রানের পুঁজি পেলেও তা যথেষ্ট হয়নি। ব্র্যান্ডন কিং, এভিন লুইস, কেসি কার্টির ঝাঁজে সহজেই জেতে ক্যারিবিয়ানরা।

ম্যাচ শেষে মিরাজ জানালেন তিনশোর বেশি রানের চাহিদা থাকলেও তারা করেছেন অনেক কম,  'আমরা মাঝের ওভারে ভালো ব্যাট করিনি। কোন জুটি হয়নি। একের পর এক উইকেট হারিয়েছি। মাহমুদউল্লাহ ও (তানজিম) সাকিব ভালো খেলেছে। আমাদের ভুলেই রান করতে পারিনি।'

'সিলস ও বাকিরা খুব ভালো বল করেছে, আমরা শুরুতে রান পাইনি। দ্রুত উইকেট পড়ে গিয়েছিলো। তাও ভেবেছিলাম ঘুরে দাঁড়াব। আমাদের পুঁজি যথেষ্ট ছিলো না। ৩০০ রানের বেশি করা দরকার ছিলো।'

প্রথম ওয়ানডের চেয়ে অবশ্য উইকেটে বল ধরছিল বেশি। বিশেষ করে কাটার করে সাফল্য পেয়েছেন ক্যারিবিয়ানরাও। বাংলাদেশের এই ধরনের বল করতে দক্ষ হলেও তাদের হতাশ করতে দেখা যায়। ওপেনিং জুটিতেই বিনা উইকেটে যোগ হয় শতরান। শুরুতেই আলগা বল করেন শরিফুল ইসলাম, এলোমেলো দেখা যায় তানজিম হাসানকেও। মিরাজ অবশ্য নাহিদ রানার জুতসই বোলিংটাই বেশি হাইলাইট করতে চাইলেন,  'প্রথম ১০ ওভারে আমাদের বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। বিশেষ করে নাহিদ রানা এই উইকেটে ভালো করেছে। পার স্কোরের থেকে কম রান সামলানো কঠিন।'

বৃহস্পতিবার একই মাঠে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে নামবে বাংলাদেশ।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago