লাইভ আপডেট

জাঙ্গুর ঝড়ো সেঞ্চুরিতে হোয়াইটওয়াশড বাংলাদেশ

Amir Jangoo
অভিষিক্ত আমির জাঙ্গু সেঞ্চুরি করে হারান বাংলাদেশকে

জিততে হলে রেকর্ডই গড়তে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ওয়ার্নার পার্কে এর আগে কখনোই তিনশর বেশি রান তাড়া করে কেউ জিততে পারেনি। তবে অভিষিক্ত আমির জাঙ্গুর ব্যাটে কি সহজেই না করে ফেলল ক্যারিবিয়ানরা। ২৪ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় দলটি। তাতে হোয়াইটওয়াশই হলো বাংলাদেশ।

ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১০৪ রান করে অপরাজিত থাকেন জাঙ্গু। ৮৩ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন তিনি। কম যাননি গুডাকেশ মোটিও। ৩১ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৪৪ রানের ইনিংস। কেসি কার্টি করেন ৯৫ রান। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২১/৫ (তানজিদ ০, সৌম্য ৭৩, লিটন ০, মিরাজ ৭৭, আফিফ ৭৭, আফিফ ১৫, মাহমুদউল্লাহ ৮৪*, জাকের ৬২*; আলজেরি ২/৪৩, ব্লেডস ০/৭৩, রোমারিও ০/৬৫, চেজ ০/৩৮, মোটি ১/৬৪, রাদারফোর্ড ১/৩৭)। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৬ ওভারে ৩২৫/৬ (কিং ১৫, আথানেজে ৭, কার্টি ৯৫, হোপ ৩, রাদারফোর্ড ৩০, জাঙ্গু ১০৪*, চেজ ১২, মোটি ৪৪*; হাসান ১/৫২, নাসুম ১/৫৬, মিরাজ ০/৬৭, তাসকিন ১/৪৯, রিশাদ ২/৬৯, আফিফ ০/২, সৌম্য ০/৬)।

ফলাফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী।  

অভিষেকে জাঙ্গুর সেঞ্চুরি

ওয়ানডে তো বটেই, ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন আমির জাঙ্গু। তবে তার ব্যাটিং দেখে কে বলবে এটাই তার প্রথম ম্যাচ? চাপের সময়ে নেমে দলের হাল তো ধরেছেনই, নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে সচল রেখেছেন রানের চাকাও। তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও। মাত্র ৭৯ বলে আসে তার শতরান। যেখানে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন এই ব্যাটার। দ্বিতীয় ক্যারিবিয়ান হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরি পেলেন তিনি।

৪৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩০৯ রান। জাঙ্গু ১০২ ও মোটি ৩১ রানে ব্যাটিং করছেন।

জাঙ্গু-মোটির জুটির ফিফটি

অভিষেকে কী দারুণ ব্যাটিংই না করছেন আমিন জাঙ্গু। তাকে দারুণ সহায়তা করছেন গুডাকেশ মোটি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্রুতই ছুটছেন তারা। তাতে লক্ষ্যটাও ক্রমেই হচ্ছে ছোট। এরমধ্যেই এ জুটি পার করেছে পঞ্চাশের কোটা। মাত্র ৩৫ বলে এসেছে জুটির ফিফটি।

৪৩ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৮৬ রান। জাঙ্গু ৮৭ ও মোটি ২৩ রানে ব্যাটিং করছেন।

রিশাদের দারুণ ক্যাচে ফিরলেন চেজ

নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরলেন রিশাদ হোসেন। অফস্টাম্পের বেশ বাইরে রাখা ফুলটাস বলে বোলারের উপর দিয়ে হাঁকাতে চেয়েছিলেন রোস্টন চেজ। তবে দীর্ঘদেহী রিশাদ কিছুটা লাফিয়ে এক হাতে দুর্দান্ত দক্ষতায় তালুবন্দি করেছেন সেই ক্যাচ। ফলে ব্যক্তিগত ১২ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় চেজকে।

৩৮ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৪০ রান। আমির জাঙ্গু ৬৬ ও গুডাকেশ মোটি ৬ রানে ব্যাটিং করছেন।

কার্টিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন রিশাদ

আগের বলেই অতিরিক্ত ফিল্ডার পারভেজ হোসেন ইমনের হাতে জীবন পেয়েছিলেন কেসি কার্টি। তবে পরের বলেই তাকে ফিরিয়েছেন রিশাদ হোসেন। তার অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে কভারে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন সৌম্য সরকার। ফলে পাঁচ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় কার্টিকে। ৮৮ বলে ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯৫ রান করেন কার্টি। এর আগে ব্যক্তিগত ২২ রানে আফিফ হোসেনের হাতে জীবন পেয়েছিলেন তিনি।

৩৪ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২২১ রান। আমির জাঙ্গু ৬৩ ও রোস্টন চেজ ২ রানে ব্যাটিং করছেন।

জাঙ্গুর ফিফটি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইশ

কিছুটা চাপের সময় উইকেটে নেমেছিলেন অভিষিক্ত আমির জাঙ্গু। তবে অভিষেকেই খেলছেন দারুণ এক দায়িত্বশীল ইনিংস। তাতে দুইশ রানের কোটা পূরণ হয়েছে তাদের। আর উইকেটে দারুণ সেট হয়ে তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটিও। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে দুই রান নিয়ে ফিফটি স্পর্শ করেছেন এই ব্যাটার। ৪৫ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।

৩১ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০৪ রান। কেসি কার্টি ৯২ ও আমির জাঙ্গু ৫১ রানে ব্যাটিং করছেন।

কার্টি-জাঙ্গুর জুটিতে শতরান

ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন কেসি কার্টি ও আমির জাঙ্গু। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রতিরোধ গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ্যের দিকে। এরমধ্যেই শতরানের জুটি গড়েছেন এই দুই ব্যাটার। পার্ট-টাইম স্পিনার আফিফ হোসেনের বলে দারুণ এক ছক্কা হাকিয়ে জুটির একশ রান পূরণ করেন জাঙ্গু। ৮৯ বলে এসেছেন তাদের জুটির একশ।  

২৯ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯০ রান। কেসি কার্টি ৮৪ ও আমির জাঙ্গু ৪৬ রানে ব্যাটিং করছেন। 

কার্টি-জাঙ্গুর জুটির ফিফটি  

দলীয় ৮৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অভিষিক্ত আমির জাঙ্গুকে নিয়ে সেই চাপ থেকে দলকে বের করে আনছেন কেসি কার্টি। এরমধ্যেই গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি। হাসান মাহমুদের বলে বাউন্ডারি আদায় করে জুটির ফিফটি পূরণ করেন কার্টি। ৫২ বলে এসেছেন তাদের জুটির পঞ্চাশ।  

২৩ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩৮ রান। কেসি কার্টি ৬৫ ও আমির জাঙ্গু ১৩ রানে ব্যাটিং করছেন।  

কার্টির ফিফটি

ব্যক্তিগত ২২ রানেই ফিরতে পারতেন কেসি কার্টি। তবে তার দেওয়া ক্যাচ ধরতে পারেননি আফিফ হোসেন। সেই জীবন কাজে লাগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এই ব্যাটার। এরমধ্যেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ছক্কা মারার পরের বলে বাউন্ডারি মেরে পঞ্চাশ পূরণ করেন তিনি। ৪৯ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন এই ব্যাটার।

২১ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২২ রান। কেসি কার্টি ৫৩ ও আমির জাঙ্গু ৯ রানে ব্যাটিং করছেন।    

ওয়েস্ট ইন্ডিজের একশ

দলীয় শতক পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রিশাদ হোসেনের বলে টানা দুটি বাউন্ডারি আদায় করে দলীয় শতক পূর্ণ করেন কেসি কার্টি। ১৭.২ ওভারে এসেছে ক্যারিবিয়ানদের দলীয় শতক।  

১৮ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৩ রান। কেসি কার্টি ৩৯ ও আমির জাঙ্গু ৪ রানে ব্যাটিং করছেন।  

রাদারফোর্ডকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন তাসকিন

জুটিটা ভাঙতে পারতো আগের ওভারেই। কেসি কার্টির ক্যাচ ধরতে পারেননি আফিফ হোসেন। তবে পরের ওভারে আরেক সেট ব্যাটার শেরফিন রাদারফোর্ডকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙেছেন তাসকিন আহমেদ। তার কিছুটা খাট লেন্থের বলে পুল করেছিলেন দারুণ ছন্দে থাকা রাদারফোর্ড। ডিপ স্কয়ার লেগে সোজা চলে যায় তানজিদ হাসানের হাতে। ৩৩ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩০ রান করেছেন রাদারফোর্ড।

১৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৮৮ রান। কেসি কার্টি ২৭ ও আমির জাঙ্গু ১ রানে ব্যাটিং করছেন।  

কার্টিকে জীবন দিলেন আফিফ

বল হাতে নিয়েই জুটি ভাঙতে পারতেন রিশাদ হোসেন। তার বলে ড্রাইভ করেছিলেন কেসি কার্টি। এক্সট্রা কভারে কিছুটা লাফিয়ে উঠে বল হাতে লাগালেও লুফে নিতে পারেননি আফিফ হোসেন। উল্টো বাউন্ডারি পেয়ে যান কার্টি। এ সময় ২২ রানে ব্যাট করছিলেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।

১৪ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৬ রান। কেসি কার্টি ২৬ ও শেরফিন রাদারফোর্ড ৩০ রানে ব্যাটিং করছেন।  

কার্টি-রাদারফোর্ডের জুটির ফিফটি

৩১ রানে তিন উইকেট তুলে ক্যারিবিয়ান শিবিরে দারুণ চাপ সৃষ্টি করেছিল বাংলাদেশ। তবে কেসি কার্টি ও শেরফিন রাদারফোর্ডের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরমধ্যেই এসেছে জুটির ফিফটি। ৪৯ বলে এসেছে এই জুটির পঞ্চাশ রান।

১৩ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮১ রান। কেসি কার্টি ২২ ও শেরফিন রাদারফোর্ড ২৯ রানে ব্যাটিং করছেন।  

বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু

হঠাৎ করে বৃষ্টি নামলেও তা থেমে গিয়েছে দ্রুত। ফলে ফের শুরু হয়েছে খেলা। দ্রুত শুরু হয়ে যাওয়ায় কোনো ওভার কাটা হয়নি।

বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ

ইনিংসের অষ্টম ওভারে বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে ম্যাচে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে আপাতত বন্ধ রয়েছে খেলা। এরমধ্যেই কভার দিয়ে ঢাকা হয়েছে পিচ। এ সময় ৭.৪ ওভার খেলা হয়েছিল। যেখানে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তুলেছিল ক্যারিবিয়ানরা। কেসি কার্টি ৯ ও শেরফিন রাদারফোর্ড ১০ রানে ব্যাটিং করছেন। 

শেই হোপকে ফেরালেন হাসান

২৮ রানে দুই ওপেনারকে হারানোয় অধিনায়ক শেই হোপের উপর ছিল গুরু দায়িত্ব। তবে তা পূরণ করতে পারেননি আগের দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা এই ক্যারিবিয়ান। হাসান মাহমুদের অফ-স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। অবশ্য দারুণ ক্যাচ ধরেছেন সৌম্যও। ৬ বলে ৩ রান করেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।

ছয় ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৮ রান। কেসি কার্টি ৩ ও শেরফিন রাদারফোর্ড ৩ রানে ব্যাটিং করছেন।  

নাসুমের বলে বোল্ড আথানেজে

আগের ওভারে দুটি চার ও একটি ছক্কা হজম করেছিলেন নাসুম আহমেদ। তারপরও নাসুম আহমেদকে পরের ওভারে বল দেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। বোল্ড করে দিয়েছেন আলিক আথানেজেকে। তার বলে সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান এই ওপেনার। ৮ বলে ৭ রান করেন তিনি।

চার ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৯ রান। কেসি কার্টি ২ ও শেই হোপ ১ রানে ব্যাটিং করছেন।

ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়ে রানআউট কিং 

নাসুম আহমেদের প্রথম বলেই বাউন্ডারি। এক বল পর আরও একটি। পরের বলে আসে ছক্কা। শুরুতেই রীতিমতো তাণ্ডব তুলে ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ব্রান্ডন কিং। তবে এক বল পরই আরেক ওপেনার আলিক আথানেজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির খেসারত দিয়ে রানআউটে কাটা পড়েছেন এই ওপেনার। ১০ বলে ১৫ রান করেন তিনি।

তিন ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৭ রান। আথানেজে ৭ ও কেসি কার্টি ১ রানে ব্যাটিং করছেন। 

মাহমুদউল্লাহ-জাকেরের ব্যাটে বাংলাদেশের তিনশো ছাড়ানো সংগ্রহ
  

শুরুতে দ্রুত ২ উইকেট পড়ার পর ১৩৬ রানের জুটি গড়ে দলকে পথে আনেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সৌম্য সরকার। সৌম্য ৭৩ ও মিরাজ ৭৭ করে ফেরার পর একটা ছোটখাটো ধাক্কা খায় দল। ১৭১ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর অবিচ্ছিন্ন  ১৫০  রানের জুটিতে দলকে ৩২১ রানের বিশাল পুঁজি এনে দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলি অনিক। ৬৩ বলে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। জাকের ৫৭ বলে করেন ৬২ রান। সেন্ট কিটসে এত বড় রান তাড়ায় ওয়ানডেতে জয়ের রেকর্ড নেই। সিরিজ হেরে গেলেও তাই হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে বেশ ভালো অবস্থায় বাংলাদেশ দল। 

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২১/৫ (তানজিদ ০, সৌম্য ৭৩, লিটন ০, মিরাজ ৭৭, আফিফ ৭৭, আফিফ ১৫, মাহমুদউল্লাহ ৮৪, জাকের ৬২; আলজেরি ২/৪৩, ব্লেডস ০/৭৩, রোমারিও ০/৬৫, চেজ ০/৩৮, মোটি ১/৬৪, রাদারফোর্ড ১/৩৭) 

জাকের-মাহমুদউল্লাহর ফিফটিতে বড় পুঁজির দিকে বাংলাদেশ

আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের ৩২তম ফিফটি পেয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। দারুণ ছন্দে থাকা জাকের আলি অনিকও পেলেন ফিফটি। এই দুজনের শতরানের জুটিতে তিনশো ছাড়ানোর পথে বাংলাদেশ। 

জাকের-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে এগুচ্ছে বাংলাদেশ

১৭১ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলি অনিক। এই দুজনের জুটিতে দুইশো পার করেছে বাংলাদেশ। ৪০ ওভার শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২১৭ রান। জুটিতে ৫৫ বলে যোগ হয়েছে ৪৬ রান। 

বাজে শটে আফিফের আত্মাহুতি

প্রথম দুই ম্যাচের মতন তৃতীয় ম্যাচেও থিতু হয়ে ইনিংস টানতে পারলেন না আফিফ হোসেন। এবার রান করলেন আরও কম। ২৯ বলে ১৫ রান করা ব্যাটার অনিয়মিত বোলার শেরফাইন রাদারফোর্ডের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে ব্যাটে নিতে পারেননি, টপ এজড হয়ে দেন সহজ ক্যাচ। ১৭১ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার-মেহেদী হাসান মিরাজের শতরানের জুটির পর দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়েছে তারা। 

রান আউটে বিদায় নিলেন মিরাজ
দলের চাপে নেমে দারুণ খেলে সেঞ্চুরির আভাস তৈরি করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ফিরলেন রান আউটে কাটা পড়ে। চার নম্বরে নেমে ৭৩ বলে ৭৭ করেন তিনি। ২৯.২ ওভারে ১৭১ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।   

Soumya Sarkar

শতরানের জুটির পর ফিরলেন সৌম্য

শূন্য রানে জীবন পাওয়ার পর দারুণ খেলছিলেন সৌম্য সরকার। দলের চাপে পরিস্থিতি বুঝে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে গড়েন শতরানের জুটি। ফিফটি পেরিয়ে আগ্রাসী মেজাজে ছুটছিলেন বড় কিছুর দিকে। তবে তাকে থামিয়েছেন গুডাকেশ মোটি। ৭৩ বলে ৭৩ রান করে আউট হয়েছেন সৌম্য। ৬ চারের সঙ্গে তিনি মেরেছেন ৪ ছক্কা। সৌম্যর বিদায়ে ভাঙলো তৃতীয় উইকেটে ১৩৬ রানের জুটি। ১৪৫ রানে পড়ল বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেট। 

Mehidy Hasan Miraz

মিরাজ-সৌম্যের ফিফটি, এগুচ্ছে বাংলাদেশ

৫৬ বলে চার মেরে ফিফটি স্পর্শ করেন মিরাজ। সিরিজে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। ৫৮ বলে ফিফটি পূরণ করেছেন সৌম্য সরকার। এই দুজনের ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৭। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এসেছে ৯৮ রান। 

মিরাজ-সৌম্যের জুটিতে প্রতিরোধ 

৯ রানে ২ উইকেট পড়ার পর জুটি বেধেছেন সৌম্য সরকার-মেহেদী হাসান মিরাজ। ছন্দে থাকা মিরাজ খেলছেন আগ্রাসী মেজাজে, সৌম্যও বাড়াচ্ছেন রান। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৬ । তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ হয়েছে ৩৭ রান। 

এসেই বিদায় লিটনের

ওয়ানডেতে চরম বাজে ছন্দ টেনে নিলেন লিটন দাস। তিনে নেমে এই ওপেনার টিকলেন কেবল ২ বল। আলজেরির অনেক বাইরের বল তাড়া করে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন কোন রান না করে। ৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লে বাংলাদেশ 

কোন রান না করেই ফিরলেন তানজিদ 

প্রথম দুই ম্যাচে রান পেয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। প্রথম ম্যাচে ফিফটির পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিলেন ৪৬ রান। তবে তৃতীয় ওয়ানডেতে রানের খাতাই খুলতে পারলেন না তিনি। আলজেরি জোসেফের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন তিনি। ৯ রানে পড়ল প্রথম উইকেট। 

শুরুতেই জীবন পেলেন সৌম্য

প্রথম ওভারেই ফিরতে পারতেন সৌম্য সরকার। আলজেরি জোসেফের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে এজড হয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। সেই ক্যাচ ছেড়ে দেন ব্র্যান্ডন কিং। ০ রানে জীবন পান সৌম্য। 

Toss

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে তিন বদল নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়ে বসেছে বাংলাদেশ। শেষ ওয়ানডে তাই হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই। তাতে টস ভাগ্য পক্ষে আসেনি সফরকারীদের। টস হেরে এবারও আগে ব্যাটিং পেয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।         

সেন্ট কিটসে বৃহস্পতিবার তৃতীয় ওয়ানডে একাদশে তিন বদল এনেছে বাংলাদেশ দল। এক ম্যাচ পর একাদশে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ। তাকে জায়গা দিতে বাইরে চলে গেছেন তানজিম হাসান সাকিব। নাহিদ রানাকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হচ্ছে হাসান মাহমুদকে। এছাড়া শরিফুল ইসলামের বদলে একাদশে এসেছেন নাসুম আহমেদ।

সিরিজ জিতে যাওয়ায় নিয়মিত একাদশের একাধিক খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, একাদশে এনেছে চার বদল। বিস্ফোরক ওপেনার এভিন লুইসের বদলে এই ম্যাচে একাদশে এসেছেন আলিক আথানেজ। জাস্টিন গ্রেইভসের অভিষেক হচ্ছে আমির জঙ্গুর।  এক ম্যাচ পর একাদশে ফিরেছেন আলজারি জোসেফ। তাকে জায়গা দিতে বাইরে চলে গেছেন মারকুইনু মিন্ডলে।  দ্বিতীয় ম্যাচের সেরা জেডন সিলসের চোটে অভিষেক হয়েছে পেসার জেডিয়াহ ব্লেডসের।

সেন্ট কিটসে তিনটি ম্যাচই হচ্ছে একই উইকেটে। ব্যবহৃত উইকেটেও অন্তত ২৮০ থেকে ৩০০ রান করার দরকার দেখছেন মিরাজ।  

বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, জাকের আলি অনিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ।   

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ব্র্যান্ডন কিং, আমির জঙ্গু, কেসি কার্টি, শেই হোপ, আলিক আথানেজ, শেরফাইন রাদারফোর্ড, রোস্টন চেজ, রোমারিও শেফার্ড, গুডাকেশ মোটি, আলজেরি জোসেফ, জেডিয়াহ ব্লেডস। 

 

Comments

The Daily Star  | English
IMF loan conditions

IMF conditions: Govt pledges to track graft in tax admin

The government has pledged a series of sweeping reforms to meet International Monetary Fund conditions for the next instalment of its $5.5 billion loan, including a public survey to measure corruption in tax administration and a phased reduction of subsidies on electricity, fertiliser, remittances and exports.

7h ago