শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা: ৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছেন আদালত

শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে মুদি দোকানদার আবু সায়েদের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে দাখিলের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোক্তারুজ্জামান আজ কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকা মহানগর হাকিম আরিফুর রহমান নতুন দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত ৯ নভেম্বর ঢাকার আরেক আদালত আজকের মধ্যে পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিবির সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

গত ১৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলাটি করেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা এস এম আমির হামজা।

গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটিই ছিল প্রথম মামলা।

শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (এফআইআর) অভিযোগটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

অভিযোগকারীর আইনজীবী মামুন মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মামলায় বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে। অভিযোগকারী ভুক্তভোগীর স্বজন নন, তবে তিনি স্বেচ্ছায় মামলাটি করেছেন।

মামলার নথিতে বলা হয়েছে, ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে আসামিদের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে আবু সায়েদ নিহত হন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা অত্যন্ত দরিদ্র এবং তারা পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় বসবাস করেন। তাদের মামলা করার সক্ষমতা নেই বলে নথিতে উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে এ মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি ও সাবেক উপক্রীড়ামন্ত্রী আরিফ খান জয়কে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Comments