ন্যাটোকে সামলাতে বেলারুশে ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা পুতিনের
'ন্যাটোর আগ্রাসন' থামাতে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের অনুরোধে দেশটিতে অত্যাধুনিক ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাস ও বেলারুশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা বেল্টা এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে রাশিয়া ও বেলারুশের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে সুপ্রিম স্টেট কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে পুতিন জানান, দুই দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য নিজেদের সকল শক্তি ও মাধ্যম ব্যবহার করতে চুক্তি করেছেন তারা।
চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছর বেলারুশে ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার ইঙ্গিত দেন পুতিন। একইসঙ্গে রাশিয়ায় ওরেশনিকের মতো অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার উৎপাদন বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
শুক্রবারের বৈঠক শেষে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কো দাবি করেন, বেলারুশের সীমান্তে ন্যাটো রাষ্ট্র পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়া সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। এই সীমান্তে জার্মানিসহ অন্যান্য ন্যাটো রাষ্ট্র থেকেও সেনারা উপস্থিত হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা বেল্টা জানায়, ন্যাটোর এই আগ্রাসন থামাতেই বেলারুশের পক্ষ থেকে ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।
গত মাসে পূর্ব ইউক্রেনে ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায় রাশিয়া। এই ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
ওরেশনিকের সক্ষমতা সম্পর্কে পুতিন বলেন, 'ওরেশনিকের মতো আধুনিক অস্ত্রব্যবস্থা পৃথিবীতে আর নেই। এই ক্ষেপণাস্ত্রের একাধিক ব্যবহার পারমাণবিক হামলার মতো প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটি গণবিধ্বংসী অস্ত্র নয়।'
'গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিপরীতে এটি খুবই নিখুঁত একটি অস্ত্র। বড় এলাকাজুড়ে আঘাত না হেনে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করে। তবে এর এক, দুই বা তিনটি সিস্টেম একসঙ্গে ব্যবহার করলে তা পারমাণবিক অস্ত্রের সমান প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটি কোনো তেজস্ক্রিয় দূষণ ঘটায় না,' যোগ করেন পুতিন।
Comments