প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চায় দ. কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ফাইল ছবি: রয়টার্স
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ফাইল ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের বিষয়টি সমর্থন করেছেন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন চালুর চেষ্টা করলে দেশজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

আজ শুক্রবারই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন ইউন সুক ইওল। ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের বিষয়টিকে সমর্থন করেছেন।

ক্ষমতাসীন দল পিপলস পাওয়ার পার্টির প্রধান হ্যানডং-হুন জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট দেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে ভিন্নমতাবলম্বীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।

ক্ষমতাসীন দল পিপলস পাওয়ার পার্টির প্রধান হ্যানডং-হুন। ছবি: এএফপি
ক্ষমতাসীন দল পিপলস পাওয়ার পার্টির প্রধান হ্যানডং-হুন। ছবি: এএফপি

শাসক দলের প্রধানের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের পক্ষেই অধিকাংশ পার্লামেন্ট সদস্য ভোট দেবেন।

উল্লেখ্য, দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেলে প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের মুখোমুখি হবেন। অর্থাৎ, ৩০০ জনের পার্লামেন্টে ২০০টি ভোট প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যেতে হবে।

এর মধ্যে বিরোধী জোটের ১৯২ জন আইনপ্রণেতা সম্মিলিতভাবে অভিসংশন প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। ফলে তাদের ভোট এমনিতেই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যাবে।

প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে শাসক দলের প্রধানের এই অবস্থানে দলের একটি বড় অংশ দলীয় প্রধানকে সমর্থন করছেন। ফলে তারাও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। বস্তুত, শাসকদলের ১৮ জন পার্লামেন্ট সদস্য ইতোমধ্যে বিরোধীদের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। ফলে কোনোভাবেই প্রেসিডেন্ট পদ টিকিয়ে রাখতে পারবেন না ইওল।

বৃহস্পতিবারও এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা ছিল না। কারণ তখনো হ্যান তার অবস্থান স্পষ্ট করেননি। বস্তুত, তখন তিনি প্রেসিডেন্টের সমর্থনেই কথা বলেছিলেন। দলের সমস্ত পার্লামেন্ট সদস্যকে প্রেসিডেন্টের পক্ষে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু আজ শুক্রবার আকস্মিকভাবেই নিজের মতামত সম্পূর্ণ বদলে ফেলেন তিনি।

আর তাতেই প্রেসিডেন্টের পতন কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়।

মঙ্গলবার দেশে সামরিক শাসন চালুর চেষ্টা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট। যা নিয়ে গোটা দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। বিরোধীদলের সদস্যরা এর তীব্র বিরোধিতা করে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন কায়েমের পর পার্লামেন্টের সামনে অবস্থান নেয় সেনাবাহিনী। ফাইল ছবি: রয়টার্স
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন কায়েমের পর পার্লামেন্টের সামনে অবস্থান নেয় সেনাবাহিনী। ফাইল ছবি: রয়টার্স

শাসক দলের প্রধান জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট তার এই পদক্ষেপ শেষ পর্যন্ত সমর্থন করে গেছেন। আর সেখান থেকেই দলের ভিতরে ইওলের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে।

শনিবার ইওলকে অভিশংসন করা হলে সংবিধান আদালত ঠিক করবে প্রেসিডেন্টকে পদ থেকে সরানো হবে, নাকি তাকে একই পদে বহাল রাখা হবে।

ইওল পদত্যাগ করলে বা তাকে সরিয়ে দেওয়া হলে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্তর্বর্তী সময়ে দেশপ্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু।

রয়টার্স, এপি, এএফপি

Comments

The Daily Star  | English

Govt dissolves NBR as per IMF proposal

An ordinance published last night disbands NBR and creates two new divisions

2h ago