নাহিদের ঝাঁজে ঘুরে দাঁড়িয়ে এবার জেতার আশা
আগের দিন জ্যামাইকা টেস্ট যে অবস্থায় ছিল তাতে ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ জেতার অবস্থায় চলে আসবে, তা ভাবা ছিলো অকল্পনীয়। তবে নাহিদ রানার গতির তোড়ে সেই ভাবনাই এখন বাস্তব। বলা ভালো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশের হাতেই।
সোমবার তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ থেকে এগিয়ে আছে ২১১ রানে। ১৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে তুলেছে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান। জাকের আলি অনিক ২৯ আর তাইজুল ইসলাম ব্যাট করছেন ৯ রান নিয়ে।
১৬৪ রান করলেও ১৮ রানের লিড পাওয়া যাবে, এমন আশা সমর্থকদের মনে ছিলো না। তাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কিছু দিয়েছেন নাহিদ। তরুণ গতিময় ডানহাতি পেসার সহায়ক কন্ডিশন পেয়ে দেখিয়েছেন ঝাঁজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং এমনিতে একটু নড়বড়ে। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ছাড়া অভিজ্ঞতার ঘাটতিও চরম। তৃতীয় দিনে নেমে ১ উইকেটে ৮৫ থেকে আর ৬১ রান যোগ করতেই হুড়মুড়িয়ে ধসে যায় তারা।
গতির সঙ্গে বাড়তি বাউন্স দিয়ে নাহিদ প্রথমে তুলে নেন ব্র্যথওয়েটকে। কেভাম হজকে বারবার পরাস্ত করে বানান উইকেটের পেছনে ক্যাচ। নাহিদের জোড়া উইকেট দেখে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদরা সামিল হলে লন্ডভণ্ড হয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। লোয়ার অর্ডার আর টেল এন্ডেও আতঙ্ক ছড়িয়ে ইনিংস মুড়ে দেন নাহিদ।
আরেকটা কাজও করে ফেলেছেন তিনি। তার ক্ষিপ্র এক বাউন্সার কেমার রোচের ঘাড়ে আঘাত করেছে। ক্যারিবিয়ান সেরা পেসার এতে আর বল করতেই নামতে পারেননি। বোঝাই যাচ্ছে নাহিদের প্রভাব কতখানি।
১৮ রানের লিড পেয়ে আরও ১৯৩ রান যোগ করতে সাড়ে চারের উপর রানরেট রেখেছে বাংলাদেশ। কঠিন উইকেটে এই কৌশল মন্দ নয়। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পেয়েছেন সাদমান ইসলাম। সেই রান খুব বেশি না হলেও (৪৬) ম্যাচের প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ। এক সাদমান ছাড়া বাকি সবাই খেলেছেন ওয়ানডে ঘরানায়। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৯ বলে করেছেন ৪২। লিটন দাস ডানা মেলার আভাস দিয়ে ৩৪ বলে থেমেছেন ২৫ করে।
তবে বাংলাদেশের ইনিংসে এখন অবধি অস্বস্তির কাটা মুমিনুল হকের না নামা। অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার কেন নামেননি তা জানায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। মুমিনুলের কোন চোট সমস্যা থাকলে একজন ব্যাটার কমে যাবে বাংলাদেশ। আর মুমিনুল নামতে পারলে ২১১ রানের লিডটা অনেক বড় করা সম্ভব বাংলাদেশ। ম্যাচ জেতার সম্ভাবনাতেও আপাতত এগিয়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
Comments