আলেপ্পোতে বিদ্রোহীদের দখলে প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রাসাদ

সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের দখল নেওয়ার পর একটি পোস্টার থেকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মুখ মুছে দেয় বিদ্রোহীরা। ছবি: রয়টার্স
সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের দখল নেওয়ার পর একটি পোস্টার থেকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মুখ মুছে দেয় বিদ্রোহীরা। ছবি: রয়টার্স

সিরিয়ার আলেপ্পোতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রাসাদ দখলের মাধ্যমে প্রদেশটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। আলেপ্পো দখলের পর এখন এর নিকটবর্তী প্রদেশ হামা আক্রমণ শুরু করেছে তারা।

গতকাল রোববার আল জাজিরা ও জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গত সপ্তাহে আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে অতর্কিত আক্রমণ শুরু করে। আলেপ্পোতে গতকাল আসাদের প্রাসাদের পাশাপাশি আলেপ্পো মিলিটারি একাডেমির দখলও নিয়ে নেয় বিদ্রোহীরা।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, কিছু কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চল বাদে পুরো আলেপ্পোই বিদ্রোহীদের দখলে চলে এসেছে। ২০১২ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে প্রদেশটি।  

আলেপ্পো দখলে নিয়ে আসাদের মুখাবয়ব সম্বলিত ছবির ওপর দাঁড়িয়ে আছেন বিদ্রোহীরা। ছবি: এএফপি
আলেপ্পো দখলে নিয়ে আসাদের মুখাবয়ব সম্বলিত ছবির ওপর দাঁড়িয়ে আছেন বিদ্রোহীরা। ছবি: এএফপি

আল জাজিরা জানায়, আলেপ্পো দখলের পর এখন হামা প্রদেশে আক্রমণ শুরু করেছে বিদ্রোহীরা। প্রদেশের প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে সরকারি বাহিনীর সাথে তাদের যুদ্ধ চলছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সানা জানায়, সরকারি বাহিনী হামা প্রদেশে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। বেশ কিছু অঞ্চলে তারা বিদ্রোহীদের পিছনে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছে।

বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে সিরিয়া ও রাশিয়ার বিমান হামলা অব্যাহত আছে।

ইদলিব দখলের পর উল্লাস করছেন বিদ্রোহীরা। ছবি: এএফপি
ইদলিব দখলের পর উল্লাস করছেন বিদ্রোহীরা। ছবি: এএফপি

সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস পূর্বে আল কায়দার সিরিয়া শাখা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। ২০১৬ সালে তারা আল কায়দার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। যুক্তরাষ্ট্র, সিরিয়া ও রাশিয়া সরকার এই এইচটিএসকে 'জঙ্গি গোষ্ঠীর' তালিকায় রেখেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Panic grips NBR officials

The relief that followed the end of a disruptive strike by tax officials at the National Board of Revenue has quickly given way to anxiety and regret, as the government started a clampdown on those involved.

13h ago