ইসরায়েলি বাধায় গাজার প্রধান প্রবেশপথে জাতিসংঘের ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত

সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যাওয়া প্রায় সব ট্রাকই ছিনতাইয়ের মুখে পড়ছে। ছবি: এএফপি

গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর প্রধান প্রবেশপথ করিম আবু সালেম (ইসরায়েলে কেরেম শালোম নামে পরিচিত) দিয়ে ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত করেছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বাধা ও সাম্প্রতিক সময়ে ত্রাণ ছিনতাইয়ের ঘটনার মতো বেশ কিছু কারণে ইউএনআরডব্লিউএ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।

আজ রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে লাজারিনি বলেন, 'আমরা কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত করছি। গত কয়েক মাস ধরেই এই রাস্তা নিরাপদ না। গত ১৬ নভেম্বর একটি বড় ত্রাণ সরবরাহকারী ট্রাকের বহর ছিনতাই করে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। গতকাল এই পথে কয়েকটি খাবারের ট্রাক প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সেগুলোও ছিনতাই হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই কঠিন সিদ্ধান্ত এমন সময়ে নেওয়া হলো, যখন গাজায় খাদ্যাভাব তীব্র রূপ ধারণ করছে। মানবিক সহায়তা সরবরাহ কখনই এত বিপজ্জনক ও দুর্বিষহ হওয়া উচিত না।'

গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে ওঠার পিছনে পাঁচটি প্রধান কারণ উল্লেখ করেন ইউএনআরডব্লিউএ-প্রধান। সেগুলো হচ্ছে—গাজায় ইসরায়েলের চলমান অবরোধ, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বাধা, ত্রাণের পরিমাণ কমাতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, ত্রাণ পাঠানোর রাস্তায় নিরাপত্তাহীনতা এবং স্থানীয় পুলিশের ওপর আক্রমণ।

জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রমের নিরাপত্তাহীনতার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেন লাজারিনি। তিনি বলেন, 'দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরায়েলের দায়িত্ব ত্রাণ ও ত্রাণকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। তাদের অবশ্যই গাজায় নিরাপদে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর রাস্তা করে দিতে হবে এবং ত্রাণকর্মীদের ওপর আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।'

জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যাওয়া প্রায় সব ট্রাকই ছিনতাইয়ের মুখে পড়ছে। ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে ঘটছে এবং এর পেছনে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দায়ী।

Comments

The Daily Star  | English
US attack on Iran nuclear sites

Iran denounces US attack as ‘outrageous’

Iran says 'no signs of contamination' after US attacks on key nuclear sites

7h ago