মার-আ-লাগোয় ট্রাম্প-জাকারবার্গের নৈশভোজ

ট্রাম্প ও জাকারবার্গ। কোলাজ ছবি: এএফপি
ট্রাম্প ও জাকারবার্গ। কোলাজ ছবি: এএফপি

ফ্লোরিডার বিখ্যাত পাম বিচে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাসাদের মতো বাড়ি মার-আ-লাগোয় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ।

আজ বৃহস্পতিবার এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

ট্রাম্পের এক উপদেষ্টা বলেছেন, প্রযুক্তি খাতের এই ধনকুবের 'যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পুনর্জাগরণ উদ্যোগে সমর্থন জানাতে চান'।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের সত্ত্বাধিকারী জাকারবার্গ (৪০) সতর্কতার সঙ্গে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছেন।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা চালানোর পর ফেসবুক থেকে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা হয়। এই ঘটনা ও আরও কিছু বিষয় নিয়ে ট্রাম্প-জাকারবার্গের সম্পর্কের অবনতি হয়।

তবে বুধবার মেটার এক মুখপাত্র জানান, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজ ও তার নতুন প্রশাসনের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার আমন্ত্রণ পেয়ে মার্ক (জাকারবার্গ) কৃতজ্ঞ।'

এক বিবৃতিতে মুখপাত্র আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনী খাতের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য এখন একটি গুরুত্ব সময়।

এই নৈশভোজে ট্রাম্পের সহযোগী ইলন মাস্ক উপস্থিত ছিলেন কী না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। নির্বাচনের পর থেকেই মার-আ-লাগোয় মাস্ককে ধারাবাহিকভাবে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।

মাস্কের সঙ্গে জাকারবার্গের দ্বন্দ্বের বিষয়টি বহুল প্রচারিত। এর আগে জাকারবার্গকে 'খাঁচার ভেতর লড়াইয়ে' চ্যালেঞ্জ করেছিলেন মাস্ক। জাকারবার্গ রাজি থাকলেও শেষ পর্যন্ত এই লড়াই আর হয়নি।

নতুন প্রশাসনে ট্রাম্পের নীতিমালা বিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ স্টিফেন মিলার ফক্স নিউজকে বলেন, 'পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পরিবর্তনের যে হাওয়া বইছে, সেই প্রক্রিয়ার অংশ হতে চেয়েছেন জাকারবার্গ।'

রেব্যান স্মার্ট গ্লাস পরে আছেন মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: সংগৃহীত
রেব্যান স্মার্ট গ্লাস পরে আছেন মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: সংগৃহীত

টেলিভিশনে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে মিলার বলেন, 'তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের পুনর্জাগরণ প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে চান।'

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে সতর্ক অবস্থান নিলেও এবার প্রযুক্তি জগতের বেশিরভাগ দিকপাল রিপাবলিকান প্রার্থীর বিজয়ের পর তাকে অভিনন্দন জানাতে এগিয়ে এসেছেন। জাকারবার্গও তাকে শুভেচ্ছা জানান।

অপরদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন পরবর্তী মন্ত্রিসভা ও হোয়াইট হাউস দলের অন্তত নয় জনকে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। 

এফবিআই জানিয়েছে, একাধিক বোমা হামলার হুমকির তথ্য তাদের কাছে আছে। সেই সঙ্গে ভুয়া কল করেও হুমকিপ্রাপ্তদের বাড়িতে পুলিশকে পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
health reform

Priorities for Bangladesh’s health sector

Crucial steps are needed in the health sector for lasting change.

11h ago