অবশেষে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল
ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের চাপে মুখে অবশেষে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহর সঙ্গে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়ার নির্দেশ দেবেন।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নিয়ে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সহিংসতায় আপাতত ইতি টানতে যাচ্ছে দেশটি।
তবে তার মানে এই না যে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের।
ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা জানি না এই যুদ্ধবিরতি কতদিন স্থায়ী হবে। এক মাস হতে পারে, এক বছরও হতে পারে।'
লেবাননের সূত্রের বরাত দিতে সোমবার রয়টার্স জানিয়েছে, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতি চালুর চেষ্টা করছেন।
এদিকে গত সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হিজবুল্লাহ ও লেবানন সরকার।
কিন্তু ১৮ নভেম্বর ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে দেওয়া এক বক্তৃতায় নেতানিয়াহু জানান, লেবাননে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হলেও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে অভিযান চালিয়ে যাবে ইসরায়েলি বাহিনী।
বক্তৃতায় নেতানিয়াহু বলেন, 'কাগজে কী (প্রস্তাব) থাকবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। কাগজে (যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব) সই করা হলেও আমাদের (ইসরায়েল) উত্তরে আক্রমণ চালিয়ে যেতে হবে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও সেটা মানার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।'
সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের হত্যা করার পাশাপাশি দক্ষিণ লেবাননের কার্যত নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
জবাবে হিজবুল্লাহও পাল্টা আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। সোমবার ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় প্রায় ২৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা।
Comments