হারের পর দুই ডিফেন্ডারের চোট নিয়ে শঙ্কায় আর্জেন্টিনা
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বিবর্ণ ফুটবলে প্যারাগুয়ের কাছে হেরে গেছে আর্জেন্টিনা। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পারফরম্যান্সে ছিল না ছন্দের ছাপ। এই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে আরও বাধার মুখোমুখি হতে পারে দলটি। তাদের দুই ডিফেন্ডার ক্রিস্তিয়ান রোমেরো ও নিকোলাস তাগলিয়াফিকোকে নিয়ে জেগেছে চোট শঙ্কা।
শুক্রবার সকালে প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হারা ম্যাচে রোমেরো কেবল প্রথমার্ধে খেলেন। ঝুঁকি এড়াতে টটেনহ্যাম হটস্পার সেন্টার ব্যাককে বিরতির পর বদলি করেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। তার জায়গায় খেলতে নামেন লিওনার্দো বেলার্দি। কিছুদিন ধরেই চোটে ভুগছেন রোমেরো। গত ৩ নভেম্বর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। সেটা এখনও পুরোপুরি সারেনি।
তাগলিয়াফিকো অবশ্য প্যারাগুয়ের বিপক্ষে পুরোটা সময় মাঠে ছিলেন। কিন্তু তিনি ঘাড়ে ব্যথা পেয়েছেন। আলবিসেলেস্তেদের মেডিকেল টিম প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছে, তার কোনো হাড় সরে যায়নি। তারপরও ঘাড়ের আশেপাশে তীব্র ব্যথা অনুভব করছেন অলিম্পিক লিওঁ লেফট ব্যাক।
দেশে ফিরে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে রোমেরো ও তাগলিয়াফিকোর। ফলাফল দেখে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আর্জেন্টিনার গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্তস জানিয়েছে, বাছাইয়ের পরের ম্যাচে দুজনের খেলার সম্ভাবনা কম। আগামী বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টায় ঘরের মাঠে পেরুকে মোকাবিলা করবে তিনবারের বিশ্বজয়ীরা। খেলার ভেন্যু বুয়েনস এইরেসের লা বোম্বোনেরা।
রোমেরো ও তাগলিয়াফিকো শেষমেশ ছিটকে গেলে বড় বিপাকে পড়তে হবে আর্জেন্টিনাকে। শুরুতে স্কোয়াডে ডাকা হলেও রিভারপ্লেট সেন্টার ব্যাক জার্মান পেজ্জেয়া ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সেন্টার ব্যাক লিসান্দ্রো মার্তিনেজ আগে থেকেই ভুগছেন চোটে। তাই তাদের পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামার কোনো সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে অনভিজ্ঞ রক্ষণভাগ খেলাতে হবে স্কালোনিকে।
শুরুর একাদশে রোমেরোর জায়গা নিতে পারেন মার্সেই সেন্টার ব্যাক বেলার্দি। তাগলিয়াফিকোর শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেন লেঁসের ফাকুন্দো মেদিনা। সেন্টার ব্যাক ও লেফট ব্যাক দুই পজিশনেই খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত বেলার্দি চার ও মেদিনা তিন ম্যাচ খেলেছেন।
হারলেও ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে শীর্ষেই আছে আর্জেন্টিনা। ১১ ম্যাচে তাদের অর্জন ২২ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে থাকা কলম্বিয়া তাদের ঘাড়ে ফেলছে নিঃশ্বাস। ১১ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ব্রাজিল। উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে পাওয়া জয়ে পাঁচে উঠে এসেছে প্যারাগুয়ে। তাদের সমান ১৬ পয়েন্ট পাওয়া উরুগুয়ে এক ম্যাচ কম খেলে গোল ব্যবধানে চারে অবস্থান করছে।
Comments