২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সিদ্ধান্ত মেসি-দি মারিয়ার হাতে ছাড়লেন স্কালোনি

আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে লিওনেল মেসি ও আনহেল দি মারিয়া- দুইজনের বয়সই হবে ৩৯ বছর। সে বিশ্বকাপে তারা অংশ নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে চলছে নানা চর্চা। দোটানায় আছেন দুই খেলোয়াড়ও। তারপরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার তাদের কোর্টেই ছেড়ে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি।

কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে তো বটেই, বিশ্বকাপ শেষেও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে কথা বলেছেন পিএসজি ফরোয়ার্ড মেসি। তখন পর্যন্ত শরীর সায় দেবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। অবশ্য যতদিন ভালো অনুভব করবেন, ততদিন পর্যন্ত খেলে যাওয়ার কথাও বলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

জুভেন্তাস উইঙ্গার দি মারিয়া অবশ্য বিশ্বকাপ শেষেই বুটজোড়া তুলে রাখতে চেয়েছিলেন। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে যৌথভাবে অনুষ্ঠেয় ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিজেকে জাতীয় দলে দেখছেন না তিনি। এর চেয়ে ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা খেলতে পারলেই‍ খুশি হবেন বলে জানান।

মেসি কিংবা দি মারিয়া ২০২৬ সাল পর্যন্ত থাকবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, কোচ হিসেবে থাকছেন স্কালোনি। যদিও চুক্তি নবায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি এখনও। অনেকদিন থেকেই এটি ঝুলে আছে। তবে নতুন চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী দুই পক্ষই।

২০২৬ বিশ্বকাপে মেসি ও দি মারিয়া শিরোপা ধরে রাখার মিশনে স্কালোনির সঙ্গী হবেন কিনা জানতে চাইলে বিশ্বকাপজয়ী কোচ বলেন, 'পরের বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে লিওকে (মেসি) সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি তার শরীর ঠিকঠাক সাড়া দেয়, তাহলে আমার দিক থেকে বলব, সে সেখানে থাকবে। মেসিকে নিয়ে যে কথা বলেছি, একই কথা দি মারিয়ার বেলায়ও প্রযোজ্য। যতক্ষণ তার শরীর সইতে পারবে, তাকে সব সময় ডাকা হবে।'

১৯৮৬ সালের পর কাতারে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে দেওয়ার অন্যতম কারিগর ছিলেন মেসি ও দি মারিয়া। ফাইনালে গোল পেয়েছেন তারা দুইজনই। ইনজুরির কারণে দি মারিয়া বেশ কিছু ম্যাচ মিস করলেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি আসরে সাতটি গোল করা মেসি পান দ্বিতীয়বারের মতো গোল্ডেন বল।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago