ট্রাম্পের সহায়তায় পশ্চিম তীর দখলের ডাক দিলো ইসরায়েল

পশ্চিম তীরের আকাবায় ইসরায়েলি অভিযান। ছবি: রয়টার্স
পশ্চিম তীরের আকাবায় ইসরায়েলি অভিযান। ছবি: রয়টার্স

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহায়তায় ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত পশ্চিম তীর দখল করার ডাক দিয়েছেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মৎরিচ।  

গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত অঞ্চলে বসতি স্থাপনের দায়িত্বে থাকা স্মৎরিচ সোমবার এক বিবৃতিতে জানান, তিনি দখলকৃত ভূখণ্ডে 'সার্বভৌমত্ব প্রয়োগে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো প্রস্তুত করার' জন্য তার বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন। এই অভিযানে ট্রাম্প প্রশাসনের সহায়তা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী স্মৎরিচ। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী স্মৎরিচ। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে দেওয়া এক বক্তৃতায় স্মৎরিচ বলেন, 'ট্রাম্পের জয় ইসরায়েলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।'

ইসরায়েল পুরো পশ্চিম তীর দখল করে বসতি গড়লেই কেবল 'ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের হুমকি' থেকে রক্ষা পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার জামাতা ও সাবেক উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার গত মে মাসে গাজার ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে সরিয়ে সেখানে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা দেন। তবে পশ্চিম তীর পুরোপুরি ইসরায়েলের দখলে নেওয়ার প্রস্তাব এই প্রথম উঠল।

১৯৬৭ সালে জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিম তীরের দখলে নেয় ইসরায়েল। এরপর গত ৪৭ বছর ধরে সেখানে বসতি গড়া অব্যাহত রেখেছে তারা। যদিও ৯০-র দশকে বসতি স্থাপন বন্ধ করার শর্তে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বেশ কিছু শান্তিচুক্তি করেছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

4h ago