তামিলনাড়ুতে ‘গ্রামের মেয়ে’ কমলার জন্য বিশেষ প্রার্থনা

কমলার আদি নিবাস থুলাসেন্দ্রাপুরম গ্রামে তার ছবি সম্বলিত ব্যানার ঝুলছে। ছবি: রয়টার্স
কমলার আদি নিবাস থুলাসেন্দ্রাপুরম গ্রামে তার ছবি সম্বলিত ব্যানার ঝুলছে। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসের আদি নিবাস ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে। এ বিষয়টি এখন মোটামুটি সবার জানা। আজ এই নির্বাচনকে সামনে রেখে কমলার পূর্বপুরুষদের গ্রামের হিন্দু মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

১০০ বছরের বেশি সময় আগে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের থুলাসেন্দ্রাপুরম গ্রামে জন্ম নেন কমলার নানা পি ভি গোপালন। ওয়াশিংটন থেকে ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরে হলেও এই গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দা মার্কিন নির্বাচনের ফলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। 

জি মানিকান্দন নামে এক দোকানী রয়টার্সকে বলেন, 'মঙ্গলবার সকালে মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি (কমলা) জিতলে বিশেষ উদযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।'

গ্রামের হিন্দু মন্দিরের একটি পাথরে কমলার নাম খোদাই করা হয়েছে। এই পাথরে কমলার পাশাপাশি তার নানার নামও রয়েছে। মন্দিরের বাইরে একটি বড় ব্যানারে 'এই ভূমির কন্যাসন্তান' কমলাকে নির্বাচনে শুভকামনা জানানো হয়েছে।

ড্রোন থেকে নেওয়া থুলাসেন্দ্রাপুরম গ্রামের ছবি। ছবি: রয়টার্স
ড্রোন থেকে নেওয়া থুলাসেন্দ্রাপুরম গ্রামের ছবি। ছবি: রয়টার্স

এই গ্রামে জন্ম নিলেও পরবর্তীতে কমলার নানা গোপালন তার পরিবারসহ উপকূলীয় শহর চেন্নাইয়ে চলে যান। তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানীতে তিনি অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত উচ্চ পদের সরকারি চাকুরে ছিলেন। 

২০২০ সালেও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জয়ের জন্য প্রার্থনার আয়োজন করে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল এই গ্রাম। এরপর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা অভিষিক্ত হওয়ার সময় আতশবাজি পুড়িয়ে ও খাবার বিতরণ করে গ্রামবাসীরা আনন্দ উদযাপন করেন।  

আজ মার্কিন নির্বাচনের ভোট। ট্রাম্প-কমলার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে জেতেন, তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বিশ্ববাসী।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago