উত্তর কোরিয়ার নতুন ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে সক্ষম
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে কিম জং উনের উপস্থিতিতে একটি আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে দেশটি। এর আগে পিয়ংইয়ং যত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, তাদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী বলে দাবি করছে গণমাধ্যম।
গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন হোয়াসং ১৯ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং।
এ ব্যাপারে দেশটির নেতা কিম জং উন বলেন, 'এই পরীক্ষার মাধ্যমে শত্রু দেশগুলোকে একটি যথার্থ বার্তা দেওয়া হলো।'
এর একদিন আগে, গত বুধবার দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়া তাদের সপ্তম পরমাণু পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত গিয়ে আঘাত হানতে পারে এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও তারা এবার পরীক্ষা করতে চলেছে। এর পরই সেই ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। মনে করা হচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষমতা আছে।
জার্মানি এই পরীক্ষাকে বেআইনি বলে ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া একটি গণহত্যামূলক অস্ত্র তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ বৃহস্পতিবারই এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে।
এই পরীক্ষা নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের বিরোধী বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার এই বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বিশেষ বৈঠক হতে পারে। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারে ফ্রান্স, মাল্টা, জাপান, স্লোভেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাপ্রধান জানিয়েছিলেন, উত্তরপূর্ব দিকের সমুদ্রে ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। এর গতি দেখে মনে হয়েছে, এটি একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এবং সে কারণেই একে উচ্চকোণ থেকে ছোড়া হয়েছে, যাতে ক্ষেপণাস্ত্রটি বেশি দূর পৌঁছাতে না পারে।
জাপানের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, মিসাইলটি তাদের ওকুশিরি দ্বীপ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি এক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে বলে মনে হয়েছে। মিসাইলটি উপরের দিকে সাত হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
Comments