দীর্ঘতম দূরত্বে ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়া রাশিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবি করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ছবি: ডয়চে ভেলে
দক্ষিণ কোরিয়া রাশিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবি করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ছবি: ডয়চে ভেলে

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাপ্রধান দাবি করেছেন, উত্তরপূর্ব দিকের সমুদ্রে ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ব্যালিসটিক মিসাইল একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যা উচ্চকোণ থেকে ছোড়া যায়।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি ও ডয়চে ভেলে। 

এ যাবত পিয়ংইয়ং যতবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছে বলে জানা গেছে।

একদিন আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক গোয়েন্দারা সে দেশের আইনপ্রণেতাদের জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়া তাদের সপ্তম পরমাণু পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত গিয়ে আঘাত হানতে পারে এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও তারা এবার পরীক্ষা করতে চলেছে।

জাপানের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, মিসাইলটি তাদের ওকুশিরি দ্বীপ থেকে তিনশ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে।

জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে একটি আইসিবিএম (আন্তমহাদেশীয়) পর্যায়ের ব্যালিসটিক মিসাইল পিয়ংইয়ং থেকে উত্তরপূর্ব দিকে ছোড়া হয়েছে। এটি এক হাজার কিমি দূরত্ব পার করেছে। মিসাইলের সবচেয়ে বেশি উচ্চতা ছিল সাত হাজার ফুট।

নাকাতানি বলেন, 'উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত যত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, তার মধ্যে এই মিসাইলটি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে আকাশে উড়েছে। তাই বর্তমানে প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো থেকে এটি আলাদা।'

যুক্তরাষ্ট্র এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রপরীক্ষার ধারা

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি: কেসিএনএ

২০২২ সাল থেকে পিয়ংইয়ং তাদের অস্ত্র পরীক্ষার গতি অনেকটাই বাড়িয়েছে।

২০২৩ সালে উত্তর কোরিয়ার সংবিধানে পরমাণু অস্ত্রের বিষয়টি যুক্ত করা হয়। পরে এটি পার্লামেন্টের অনুমোদন পায়।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছিলেন, পরমাণু অস্ত্রের আধুনিকীকরণ খুবই জরুরি। দেশের কৌশলগত প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্যই তা দরকার।

গত মাসে কিম দুইটি ভিন্ন ধরনের মিসাইল পরীক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন বলে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে। তার মধ্যে একটিতে বিশাল বড় প্রচলিত অস্ত্র নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। অন্যটি হলো ক্রুজ মিসাইল। ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম।

রাশিয়ায় সেনা পাঠানো নিয়ে উদ্বেগ

২০১৯ সালে রাশিয়ায় বৈঠক করেন পুতিন ও কিম জং। ফাইল ছবি: রয়টার্স
২০১৯ সালে রাশিয়ায় বৈঠক করেন পুতিন ও কিম জং। ফাইল ছবি: রয়টার্স

বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছিলেন ইউক্রেনের কাছে কুরস্ক অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার সেনা রুশ সেনার পোশাকে, রুশ অস্ত্র নিয়ে এগোচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হাইয়ুনকে সঙ্গে নিয়ে অস্টিন বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার এই সেনাকে যুদ্ধে নামাবে রাশিয়া। বলা হচ্ছে,  ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সাহায্য করতে উত্তর কোরিয়া তাদের ১২ হাজার সেনাকে পাঠিয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

UK-based lawyer files complaint against Hasina, her cabinet with ICC

A UK-based lawyer has filed a complaint against former prime minister Sheikh Hasina, her cabinet and associated state actors with the Hague-based International Criminal Court, accusing them crimes against humanity

16m ago