১ নভেম্বর থেকে সিপিবির ‘শোষণ বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা’

সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, গ্রাম-শহরে রেশন ব্যবস্থা চালু, জনজীবনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নির্বাচন ব্যবস্থা আমূল সংস্কার করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও পাচারের টাকা ফেরত আনাসহ বিভিন্ন দাবিতে দেশব্যাপী 'শোষণ বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা' শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

আজ বৃহস্পতিবার সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত।  

বিবৃতিতে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আওয়ামী শাসনামলে জনগণের ওপর নিষ্ঠুর নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। জনগণকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল ভোটাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে। এর মধ্য দিয়ে অবাধ লুটপাটের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হয়ে উঠেছিল। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত জনতার বিজয়ের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে-দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করে, নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এর জন্য কালক্ষেপণ না করে প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক সংস্কার করতে হবে।'

আরও বলা হয়, 'গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়কে নস্যাৎ করতে পরাজিত স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট শক্তি নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সাম্প্রদায়িক-সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী বিদেশি শক্তিসহ দেশের ভেতরের বাংলাদেশবিরোধী নানা শক্তি অপতৎপরতা চালাচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী নানা ঘটনাও ঘটছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা, সাম্প্রদায়িক হামলা, নানা অপশক্তির আস্ফালন, পাল্টা দখলদারত্ব, কোনো কোনো ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার বিরুদ্ধে সরকারকে দৃঢ় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

6h ago