ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের 'মাদক গডফাদার' মানিক গ্রেপ্তার

'মাদক গডফাদার' মো. মানিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
'মাদক গডফাদার' মো. মানিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার 'মাদক গডফাদার' হিসেবে বিবেচিত মো. মানিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ।

বুধবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে হেফাজতে নেয় আখাউড়া থানা পুলিশের সদস্যরা। গ্রেপ্তারের বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসিম।

গ্রেপ্তার হওয়া মানিক বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি স্থানীয় সিঙ্গারবিল বাজার কমিটিরও সাধারণ সম্পাদক। এলাকাবাসীর কাছে তিনি 'জুয়াড়ি মানিক' হিসেবেও পরিচিত৷

ওসি জানান, গত ২০ অক্টোবর তারিখে আখাউড়া থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া মামলার ৬ নম্বর আসামি হলেন মানিক মিয়া। তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করার মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত মানিক দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ ও ক্যাসিনো বোর্ড পরিচালনা করেছেন।

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ঘনিষ্ঠভাজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, পুলিশের ওপর হামলা, অপহরণের পর মুক্তিপণ ও চাঁদা দাবি, হত্যাকাণ্ড ও জুয়ার আসর বসানো এবং নাশকতার অপরাধে বিজয়নগর ও আখাউড়া থানা এবং আদালতে অন্তত ১৭ টি মামলা রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ মানিক মিয়া, তার ভাই, ভাতিজা, ভাগ্নেসহ অন্তত ৩০ জনকে দিয়ে মাদকের কারবার পরিচালনা করছেন। তাদের কেউ ধরা পড়লে মানিক তাদেরকে ছাড়িয়ে নেন। মানিকের ভাগ্নে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়মনও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মাদকের ব্যবসা করছেন।

দ্য ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশের পরদিনই বিশেষ অভিযানে নামে পুলিশ। 

Comments

The Daily Star  | English

Public admin reforms: Cluster system may be proposed for ministries

The Public Administration Reform Commission is likely to recommend reducing the number of ministries and divisions to 30 from 55 to improve coordination and slash the government’s operational cost.

8h ago