‘নতুন সংস্কার প্রয়োজন নেই, জনগণ অনির্দিষ্টকাল নির্বাচনের অপেক্ষা করবে না’
আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। কিন্তু মূল সমস্যা থেকে বিচ্যুত হয়ে অন্য বিষয়ের দিকে নজর দিচ্ছেন তারা।'
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার দুপুরে আয়োজিত সভায় তিনি এই কথা বলেন।
'যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন হবে', কয়েকজন উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে গয়েশ্বর বলেন, 'আপনি যা কিছু করেন, তার জন্য আমরা আলহামদুলিল্লাহ বলব, তবে এর একটি সময়সীমা থাকা উচিত এবং ধৈর্যের একটি সময়সীমা থাকা উচিত। নির্বাচনের দ্রুত রূপরেখা তৈরি করুন, তারপর বাকিটা করুন।'
সরকার সব কিছু সমাধানের চেষ্টা করলে কিছুই সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, 'নতুন সংস্কারের প্রয়োজন নেই, কারণ জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করবে না।'
রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারের জন্য মাসের পর মাস সময় লাগা উচিত নয়।'
'বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা সংস্কার রূপরেখা উপস্থাপন করেছে, যা সরকার পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে পারে,' যোগ করেন গয়েশ্বর।
তিনি আরও বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার হওয়া উচিত। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদদের দিয়েই সমাধান করতে হবে। এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় শুরু হওয়া বিরাজনীতিকরণের চক্রান্ত এখনো চলছে। রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতির মোকাবিলা করতে হবে।'
'আপনারা (সরকার) যদি মনে করেন, শুধু ছাত্ররাই আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাহলে আপনারা ভুল করছেন, আপনারা হোঁচট খাবেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের বহু বছরের আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি,' বলেন তিনি।
Comments