পাকা ধানে সোনালী পাহাড়, অভিনব জুম চাষ ও ধান মাড়াই

বান্দরবানের পাহাড়ে জুমের খেতে পাকা সোনালি ধান। ছবি: মংসিং হাই মারমা/স্টার

প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উদযাপনের পর পাহাড়ে জুমের ধানের নবান্নের উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে। পাহাড়ি জুম চাষি দের ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে।

হেমন্তে সবুজ পাহাড়ের ফাঁকে জুমগুলো পাকা ধানে সোনালী রঙে ছেয়ে যায়। চোখের দৃষ্টি যতদুর যায় বিশাল বিশাল সবুজ পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে দূর থেকে দেখা যায় জুমের পাকা সোনালী ধান।

পাহাড়ের জুম চাষ পদ্ধতি যেমন সমতলের চেয়ে আলাদা, তেমনি আলাদা ধান মাড়াই পদ্ধতি। পাহাড়ে ধান কাটার পর সেগুলো জমা করা হয় জুমঘরে। এরপর সেগুলো মাড়াই ও বাছাই করা হয়।

পাহাড়ে জুম চাষ। ছবি: মংসিং হাই মারমা/স্টার

জুমের ধান মাড়াই ও বাছাইয়ের জন্য অভিনব এক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন বান্দরবানে দুর্গম সীমান্ত এলাকায় পাহাড়ের এক বৃদ্ধ ম্রো।

জুম চাষ

প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে জুমের জায়গা নির্ধারণ করার পর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে নির্ধারিত জায়গায় জঙ্গল পরিষ্কার করে জুম চাষের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। তারপর কেটে ফেলা আগাছা-জঙ্গল-ডালপালা রোদে শুকানো হয়। পরে মার্চ-এপ্রিল মাসে তাতে আগুন দেওয়া হয়।

আগুন দেওয়ার আগে জুমের জন্য কাটা নির্দিষ্ট অংশে চারপাশে ১০-১২ গজ দূরত্ব রেখে ফায়ারিং লাইন করা হয়। ফায়ারিং লাইন না করলে জুম পোড়ানোর আগুন পুরো পাহাড়ে অন্যান্য গহীন বনগুলোতে ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এরপর শুরু হয় জঙ্গল পোড়ানোর কাজ।

পাহাড়ের জুম ঘর। ছবি: মংসিং হাই মারমা/স্টার

মার্চ-এপ্রিল মাস জুড়েই জুমের জায়গা পরিস্কার করে ধানসহ বিভিন্ন শাকসবজি, ভুট্টা, তিলসহ বিভিন্ন ফসলের বীজ বপনের জন্য প্রস্তুত করে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকেন জুম চাষিরা। বছরের শুরুতে বৈশাখ মাসে প্রথম বৃষ্টির পরেই জুমের জায়গায় ধানসহ সাথী-ফসল বপন করা শুরু হয়।

ধান মাড়াইয়ের অভিনব পদ্ধতি

৬৫ বছর বয়সী বুলু ম্রো বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে সাংগু নদীর উৎপত্তিস্থলের কাছে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত এলাকার বুলুপাড়ার বাসিন্দা। এলাকাটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও সম্পূর্ণরূপে আধুনিক ছোঁয়ার বাইরে। সেখানেই দেখা মিলেছে অভিনব পদ্ধতিতে ধান মাড়াই ও বাছাইকরণ ঘর।

পাহাড়ে ৯৯ ভাগ জুম চাষি ধান মাড়াই ও বাছাই করেন পুরোনো পদ্ধতিতে। অর্থাৎ,  যাদের জুম খাড়া পাহাড়ে, তাদের অধিকাংশ জুমে খোলা আকাশের নিচে কোনোরকম  বাঁশের বেতের তৈরি মাদুর বিছিয়ে জুমের কাটা ধান জমা ও মাড়াইয়ের কাজ সেরে ফেলেন। অনেকে জুমের ধান কাটার পরপরই বড় ঝুড়ি কিংবা মাদুর বিছিয়ে পা দিয়ে মাড়াই করে ফেলেন।

আবার যাদের জুমে কিছুটা সমতল স্থান আছে, তারা অস্থায়ী ছনের ছাউনি বা কলাপাতা দিয়ে বেতের মাদুর বিছিয়ে কাটা ধান মাড়াই করেন। অনেকে জুমঘরের একটি অংশে বা ঘরের নিচে ধান মাড়াই ও জমা করেন।

অভিনব দোতলা এই ঘরে জুমের ধান কেটে মাড়াই করা হয়। ছবি: মংসিং হাই মারমা/স্টার

কিন্তু বুলু ম্রো অভূতপূর্ব ও অভিনব পরিবেশবান্ধব দোতলা জুমঘর তৈরি করেছেন ধান মাড়াই ও বাছাইয়ের জন্য। ঘরটি প্রথম দেখায় বোঝা যাবে না যে এর কাজ কী। কিন্তু আধুনিক ধান মাড়াই মেশিনকে চ্যালেঞ্জ করার মতো প্রকৃতি ও পরিবেশবান্ধব এই ঘরে নেই ঝড়-বৃষ্টির ভয়।

দোতলা এই ঘরের প্রথমতলার উপরে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ফাঁকা ফাঁকা করে বিছানো মেঝে। উপরের অংশে ছনের ছাউনি দিয়ে জুম থেকে পাকা ধান কেটে আনার পর পরিপাটি ও পরিছন্নভাবে জমা ও মাড়াইয়ের ব্যবস্থা করা আছে।

ধান মাড়াই ও জমানো মেঝেটি ১-২ ইঞ্চি দূরত্বে শক্ত বাঁশের কঞ্চি দিয়ে মাচাঙ আকারে বানানো হয়েছে, যেন ধান মাড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে ধান ও খড় সহজে আলাদা হয়ে যায়। বাঁশের কঞ্চির ফাঁক দিয়ে মাড়াইয়ের পর ধানগুলো সহজে নিচ তলায় পড়ে যায়। মাড়াই শেষে নিচে পড়ার সময় ধানগুলো ঝুড়ঝুড়ি হয়ে নিচের অংশে ধান জমার উদ্দেশে বিছিয়ে রাখা মাদুরে গিয়ে পড়ে। ধান পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণের খোলা অংশ দিয়ে বাতাস ঢুকে তুষ ও ধানের পাতার মতো হালকা অংশগুলো বাতাসে উড়ে যায়।

এই পদ্ধতিতে ধান মাড়াই, মাড়াইয়ের পর আলাদাভাবে খড়, তুষ ও ভালো বীজের ধান বাছাইয়ের জন্য আলাদা সময় ও শ্রমের প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া এই দোতলা পদ্ধতির ঘরে ঝড়-ঝাপটা কিংবা রোদ-বৃষ্টির ভয়ে ধান কাটা, মাড়াই, বাছাই ও পরিবহনের মতো দুশ্চিন্তা করতে হয় না। কারণ কাটা ধান জমা, মাড়াই ও বাছাইয়ে অভিনব দোতলা ঘরটি মূলত প্রধান জুম ঘরের সঙ্গে লাগোয়া হওয়ায়, সারাদিন একটানা জুমের পাকা ধান কেটে উপর তলায় জমা রাখার পর, বিশ্রাম ও রাতের খাবারের শেষে চাঁদের আলোতেও অতিরিক্ত পরিশ্রম ছাড়াই ধান মাড়াইয়ের কাজ করা সম্ভব হয়।

পরিকল্পনা ও উদ্ভাবন

বুলু ম্রো বলেন, 'ছোটবেলা থেকে পাহাড়ে জুম চাষ ও জুমে ধান মাড়াই পুরোনো নিয়মে করে আসতে দেখেছি। আমার বয়স যখন ১৬ তখন আমার বিয়ে হয়, সংসারের হাল ধরতে হয়। নিজ গ্রাম ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে জুম পাহাড়ে চলে যাই ৩-৫ মাসের জন্য। জুমে ধান যখন পাকা শুরু হয় তখন স্ত্রী ছিলেন অন্তঃস্বত্তা। স্ত্রীকে জুমে একা ফেলে গ্রামে গিয়ে কাউকে নিয়ে আসার সুযোগ ছিল না। এ অবস্থায় দুজনে গহীন জঙ্গলে ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি এল। স্ত্রীকে বললাম আমি সারাদিন ধান কেটে জমিয়ে রাখব মাড়াইয়ের জন্য। পরে দোতলা ধান মাড়াই ঘর তৈরি কাজ শুরু করলাম।'

তিনি জানান, পাহাড়ের সাধারণ বসতবাড়ির আদলেই দোতলা ঘর করা হলো। দক্ষিণ দিক খোলা রেখে বাকি তিনদিকে হালকা ফাঁকা অবস্থায় বেড়া দেওয়া হলো। দোতলার মাঝের অংশে শক্ত বাঁশের কঞ্চি ১-২ ইঞ্চি ফাঁকা রাখা হলো, যেন মাড়াইয়ের ধান খুব সহজেই ঘরের উপর তলা থেকে বাঁশের কঞ্চির ফাঁকা দিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে খড় ও ধান আলাদা হবে এবং ধান তাৎক্ষণিকভাবে বাতাসের সংস্পর্শ পেয়ে ঝুরঝুরে হয়ে, ধান-ভূষি-খড় তিনটাই আলাদা হয়ে যাবে।

পাহাড়ের জুমঘর। ছবি: মংসিং হাই মারমা/স্টার

ঘরটি সম্পূর্ণ বাঁশ ও কাঠের বলে পরিবেশবান্ধব। ঘরের দক্ষিণের অংশ খোলা রাখার কারণে অনায়াসে আলো-বাতাস ঢুকতে পারে। এতে ধান মাড়াইয়ের সময় অতিরিক্ত গরম লাগে না।

পাহাড়ে জুমের ধান মাড়াইয়ের নতুন উদ্ভাবনী এই দোতলা ঘর দেখার পর জেলার স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থার (হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন) নির্বাহী পরিচালক মংমংসিং মারমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার চোখে দেখা ধান মাড়াইয়ের এটি একটি  পদ্ধতি, যা জুম চাষি বা কৃষকদের জন্য সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব। তাছাড়া, এই পদ্ধতিটা জুমিয়াদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।'

উদ্ভাবকের উদ্ধৃতি দিয়ে মংমংসিং জানান, ধান মাড়াইয়ের এই পদ্ধতিটি সহজে নির্মাণযোগ্য এবং সহজলভ্য। জুমে কাটা ধান এতে নিরাপদ ও ভালো থাকে, সময়ও সাশ্রয়ী হয়। মাড়াইয়ের সময় অতিরিক্ত শারিরীক পরিশ্রম লাগে না।

বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম শাহনেওয়াজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে শুধু নয়, পুরো বাংলাদেশর জন্যই এটি একটি আধুনিক ও অভিনব পদ্ধতি। একসঙ্গে কাটা ধান জমা, মাড়াই ও খড় বাছাই এটি একটি নতুন উদ্ভাবন বললেও ভুল হবে না। আধুনিক মেশিনেও একসঙ্গে এভাবে কাটা ধান জমা রেখে মাড়াই, বাছাই সম্ভব হয় না। সমতল এলাকাগুলোতে ধান ঝড়-বৃষ্টি বা আবহাওয়ার কারণে অনেক সময় ছত্রাকে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়। কিন্তু বুলু ম্রো'র উদ্ভাবিত দোতলা এই ঘরে সহজে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে বলে জমা রাখা ধানে ছত্রাক সংক্রমণের সুযোগ নেই বললে চলে। এটি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে, জুম চাষি থেকে শুরু করে সব কৃষকের কাজে দেবে।'

নতুন ধানে নবান্ন উৎসব

হেমন্তের শুরুতে অর্থাৎ আশ্বিন-কার্তিক মাসে পাহাড়ে জুমের ধান কাটা শুরু হয়। ইতোমধ্যে যাদের ধান কাটা শুরু হয়েছে সেসব পাহাড়িদের মুখে হাসি ফুটেছে।

প্রকৃতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর নির্ভর করে চাষবাস চলে পাহাড়ে। সমতলের মত চাষের জন্য সমতল ভূমি না থাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার পাহাড়গুলোর উঁচু ও ঢালু ভূমিতেই জুম চাষ করা হয়।

সুদূর অতীত থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই জুম চাষ করে আসছে, যা মূলত এক ধরনের মিশ্রচাষ পদ্ধতি। ধানের সঙ্গে নানা ধরনের ফল, শাকসবজি চাষ হয় জুমে।

যারা বৈশাখ মাসে প্রথম বৃষ্টির পর জুমে ধানসহ সাথী-ফসল বপন করতে পারেন, তাদের ধান আগে পাকতে শুরু করে। আর যারা একটু দেরিতে বপন করেন, তাদের ধান দেরিতেই পাকে।

পাকা সোনালি ধান। ছবি: মংসিং হাই মারমা/স্টার

সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর দুই মাসব্যাপী পাহাড়ে প্রতিটি জুমে চলে জুমের ধান  কাটা, মাড়াই ও শুকোনো প্রক্রিয়া ও জুমের ধান ঘরে তোলার কাজ। ধান শুকোনো শেষে জুমঘর থেকে জুমে উৎপাদিত ধানসহ ফসলগুলো স্থায়ী বসত ঘরে স্থানান্তর করার কাজ। এরপর অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে ঘরে ঘরে জুমের নতুন ধানের নবান্ন উৎসব ।

এ বছর পাহাড়ে প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়া প্রভাবে সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ জুমিয়াদের জুমে দেরিতে ধান বুনতে হয়েছে। যারা আগেভাগে জুমে ধানসহ সাথী-ফসল বপণ করতে পেরেছিলেন, তাদের কেউ কেউ ধান কাটা শুরু করেছেন। ধান পাহারা দিতে অনেক জুম চাষি সপরিবারে জমিতে গিয়ে উঠেছেন, কেউ ধান কাটার আগে সাথী-ফসল বিশেষ করে মিষ্টি কুমড়া, ভুট্টা, মারফা ও চিনাল সংগ্রহ করা শুরু করেছেন, আর কেউ জুমের পাকা ধান কাটার জন্য উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা করছেন। তিন পার্বত্য জেলায় জুম চাষিদের দম ফেলার ফুসরত নেই, সেখানে চলছে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ।

বান্দরবানের বিভিন্ন পাহাড়ের জুমে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষের দল জুমের পাকা ধান কাটছেন।

চাষিরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব না থাকলে, সময় অনুযায়ী রোদ-বৃষ্টি হলে জুমের ধানের ফলন ভালো হতো।

বড় মোদক ভেতরপাড়ার বাসিন্দা জুম চাষি সিংমং মারমা ধান কাটতে কাটতে দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন, 'এ বছর জুমের ধান তেমন ভালো হয়নি। যখন বৃষ্টির দরকার ছিল তখন বৃষ্টি হয়নি, আর যখন রোদের দরকার তখন অতিবৃষ্টি।'

কয়েকজন চাষি জানান, এখন সময়মতো রোদ-বৃষ্টি হয় না বলে জুমের ফসল ভালো হয়নি। এর মধ্যে এ মাসে ধান কাটার উপযুক্ত সময়ে টানা ৪-৫ দিন বৃষ্টি হওয়াতে অনেক জুম চাষির পাকা ধান নষ্ট হয়েছে।

বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বান্দরবান জেলায় ২০২১ সালে আবাদ হয়েছিল ৮ হাজার ৩৭৮ হেক্টর জমিতে। আর চাল উৎপাদন হয় ১৩ হাজার ৪৬৭ দশমিক ২২ মেট্রিকটন। ২০২২ সালে আবাদ হয় ৮ হাজার ২৯২ হেক্টর জমিতে এবং চাল উৎপাদন হয় ১১ হাজার ৪১৮ দশমিক ১২ মেট্রিকটন, ২০২৩ সালে আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে এবং চাল উৎপাদন হয় ১০ হাজার ৪৮৯ দশমিক ৭১ মেট্রিকটন।

চলতি ২০২৪ সালে ৮ হাজার ২৬৭ হেক্টর জুমের জমিতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭১ মেট্রিকটন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. হাসান আলী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বান্দরবানে চলতি বছর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে জুমের আবাদ হয়েছে। জুমে ধান ছাড়াও সাথী-ফসল হিসেবে বিভিন্ন সবজি উৎপাদন হয়।

তিনি বলেন, 'এ বছর জুমের ফলন ভালো হবে আশা করা যায়। তবে বৃষ্টি সব জায়গায় সমানভাবে হয় না। তাই উৎপাদনে তারতম্য হয়।'

ইতোমধ্যে জেলার থানচি উপজেলায় জুমের ধান কাটা প্রায় শেষ এবং অন্যান্য উপজেলায়ও জুমের ধান কাটা চলছে বলে জানান তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English
US dollar price rises

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago