লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩ সাংবাদিক নিহত
ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননের পূর্বাঞ্চলে তিন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে, পৃথক এক হামলায় বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের শহরতলীর কিছু ভবন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল।
আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
লেবাননের সরকার সংবাদ মাধ্যম ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, 'হাসবায়া এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আমাদের সংবাদদাতা জাহলে এই তথ্য জানিয়েছেন।'
সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত ওই এলাকায় আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে তিনটায় (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ছয়টা) এই ঘটনা ঘটে।
বৈরুত থেকে ৫০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত হাসবায়ার একটি হোটেলে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
পৃথক এক হামলায় ইসরায়েলি যুদ্ধও বিমান 'দুইটি ভবন ধ্বংস করেছে। এই হামলার পর সর্বত্র আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো এলাকাটি কালো ধোঁয়ায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়ে।'
এনএনএ জানায়, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের চৌউএইফাত আল-আমরৌসিয়েহ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
'সেইন্ট থেরিস এলাকা লক্ষ্য করে চালানো হামলায় সাংবিধানিক কাউন্সিলের কাছে দুইটি ভবন ধসে পড়ে', যোগ করে এনএনএ।
এসব হামলা চালানোর আধ ঘণ্টা আগেই ওই এলাকাগুলো থেকে বেসামরিক ব্যক্তিদের সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেয় ইসরায়েল। তারা হুশিয়ারি দেয়, সেখানে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি রয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরবিভাষী মুখপাত্র আভিচেই আদরাই এক্সে জায়গাটির মানচিত্র সহ পোস্ট করেন। তিনি বলেন, 'আপনারা হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন অবকাঠামোর কাছে অবস্থান করছেন। অদূর ভবিষ্যতে ওই অবস্থান লক্ষ্য করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী হামলা চালাবে।'
এই হামলার পর এএফপির ভিডিও ফুটেজে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের ভবনগুলো থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।
এএফপির সংবাদদাতারা রাজধানীতে জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন।
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে সর্বাত্মক বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে সীমিত আকারে স্থল অভিযানও শুরু করে দেশটি।
এর পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার শিকার হয়েছেন অন্তত এক হাজার ৫৮০ জন মানুষ।
কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস নামের সংগঠন জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজা, পশ্চিম তীর, ইসরায়েল ও লেবাননে সব মিলিয়ে অন্তত ১২৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
Comments