‘সাকিব ভাই একজন কিংবদন্তি, তার পাশে থাকা উচিত’
এই টেস্ট হওয়ার কথা ছিলো সাকিব আল হাসানের বিদায় মঞ্চ। কিন্তু সেটা আর হয়নি, রাজনৈতিক কারণে দেশে ফেরার সুযোগ পাননি সাকিব। সাকিবের বিদায়ী আয়োজনও তাই ভেস্তে যায়। সাকিবের কারণে আলোচনায় আসা ম্যাচটা বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে বাজেভাবে। খেলা শেষে সাকিব ইস্যু ছাপিয়ে দলের হারই খবরের শীর্ষে। মেহেদী হাসান মিরাজ অবশ্য খেলা শেষে বাংলাদেশের সফলতম তারকার কথা স্মরণ করেছেন, তার পাশে থাকার আহবানও জানিয়েছেন।
মিরপুর টেস্টে সাকিবকে ছাড়া নেমে একাদশে সমন্বয় আনতে সমস্যা হয় বাংলাদেশের। বাড়তি ব্যাটার নিয়ে নামায় একজন পেসার কম খেলিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। যে কৌশল বুমেরাং হয়েছে পরে। ৭ উইকেটে হারের পেছনে এটাও একটা কারণ। সাকিব থাকলে হয় বাড়তি ব্যাটারের চিন্তায় না গিয়ে আরেকজন বোলার খেলাতে পারত দল।
এই টেস্টের স্কোয়াডে শুরুতে ছিলেন সাকিব। ম্যাচ খেলতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের পথেও রওয়ানা দিয়েছিলেন তিনি। দুবাইতে আসার পর সরকারের বার্তা পেয়ে আটকে যান তিনি। সাকিবকে না আসার পরামর্শ দেওয়া হয় সরকার থেকে। সাকিবের পক্ষে ও বিপক্ষের দুই সমর্থক-গোষ্ঠীর মধ্যে মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে খেলার আগের দিন মারামারির ঘটনাও ঘটে।
সেসব বিস্তারিত বিষয়ে না গিয়েও মিরাজ বললেন, বাংলাদেশের সফলতম ক্রিকেটারের পাশে থাকা উচিত সবার, 'সাকিব ভাইয়ের বিষয়টা তো আমরা সবাই জানি। তিনি কী কারণে আসতে পারেননি বা খেলতে পারেননি, এটা আমার মনে হয় না কারও কাছে অজানা। তিনি একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। বাংলাদেশের হয়ে তিনি অনেক অর্জন করেছেন। অস্বীকার করতে পারব না। যেহেতু একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমার মনে হয়, সবাই তার পাশে থাকা উচিৎ।'
সাকিব না থাকায় আগামী দিনগুলোতে মিরাজের দায়িত্ব বেড়ে যাবে। বল হাতে তিনি ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দলের নিয়মিত মুখ। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিংয়েও রাখছেন বড় ভূমিকা। চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান এসেছে নিচের দিকে ব্যাট করা মিরাজের কাছ থেকে। সাকিবকে হয়ত আর টেস্ট খেলতে দেখা যাবে না। সাকিবের জায়গাটা প্রকৃত অলরাউন্ডার হিসেবে মিরাজ পূরণ করতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে।
মিরাজ অবশ্য নিজেকে সাকিবের উচ্চতায় ভাবতে এখনি নারাজ, 'সবাই সবসময় একটা কথা বলে যে, সাকিব ভাইয়ের জায়গায় আমি আসব। একটা জিনিস দেখেন, সাকিব ভাই কিন্তু অনেক বড় অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হয়ে। প্রায় ১৭ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। আর আমারটা যদি দেখেন, ধারাবাহিক রান করা শুরু করেছি মাত্র এক-দুই বছর। সাকিব ভাই শুরু থেকেই রান করেছেন। তাই সাকিব ভাইয়ের জায়গায় সাকিব ভাই, আমি আমার জায়গায়। একজন ক্রিকেটারকে আরেকজনের সঙ্গে তুলনা না করাই শ্রেয় আমার মনে হয়। আমরা সবাই জানি, সাকিব ভাইয়ের অর্জন কত। আর আমি যেখানে ব্যাটিং করি... ৭-৮ নম্বরে। সাকিব ভাই সবসময় টপ-অর্ডারে (ওপরের দিকে) ব্যাটিং করেছেন। তো এটা একটা বাধা। আমার যখন সময় আসবে, অবশ্যই আমি চেষ্টা করব দলের প্রয়োজনে ভালো করতে।'
Comments