দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পরই নেতৃত্ব ছাড়বেন শান্ত?

Najmul Hossain Shanto
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশের তিন সংস্করণের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর অধিনায়কত্ব ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে এই বাঁহাতি ওপেনার এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো পদত্যাগপত্র দেননি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)।

শনিবার বিসিবি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। নির্বাচক কমিটির সদস্য হান্নান সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'একজন নির্বাচক হিসেবে দলের মধ্যে কী চলছে তা আমার জানা আছে। আমি এই ব্যাপারে শুনেছি। কিন্তু আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি বা এই জাতীয় কিছু পাইনি। সে হয়তো মৌখিকভাবে জানিয়েছে।'

জানা গেছে, শান্ত যেন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যান, এটাই বিসিবির চাওয়া। সিদ্ধান্ত পাল্টানোর জন্য বোর্ড তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছে।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শান্তর কাছ থেকে এই বিষয়ে কোনো নথি বা চিঠি পাননি। পদত্যাগ করার বিষয়েও কোনো কিছু তার জানা নেই।

এর আগে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ তাদের একটি প্রতিবেদন জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে চলমান টেস্ট সিরিজের পর শান্তর বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

অধিনায়কত্ব ছাড়ার ইচ্ছার বিষয়টি স্বীকার করে ক্রিকবাজকে শান্ত বলেন, 'দেখা যাক কী ঘটে! কারণ, আমি এখনও বিসিবি সভাপতির (ফারুক আহমেদ) মতামতের অপেক্ষায় আছি।'

বোর্ড প্রধান ফারুক বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। তিনি ওমরাহ পালনের জন্য অবস্থান করছেন সৌদি আরবে। আশা করা হচ্ছে, দেশে ফিরলে তিনি এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবেন।

তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে শান্তর নাম বিসিবি ঘোষণা করেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত এই ভূমিকায় থাকার কথা রয়েছে তার। তবে ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকায় সাম্প্রতিক সময়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

শান্তর নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত ৯ টেস্ট, ৯ ওয়ানডে ও ২৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ দল। অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করাসহ মোট তিনটি টেস্ট জিতেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনটি ওয়ানডে ও ১০টি টি-টোয়েন্টি জয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

New polls timing: BNP upbeat, process irks Jamaat, NCP

The interim government’s revised election timeline with certain conditions has stirred cautious optimism as well as raised questions among  political parties.

7h ago