ডি জর্জি-স্টাবসের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের পথে প্রোটিয়ারা

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশের বোলারদের ভীষণ কঠিন সময় পার করতে হলো। সারাদিনে কেবল কেবল দুটি উইকেট ফেলতে পারল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তাদেরকে হতাশ করে দারুণ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন টনি ডি জর্জি ও ট্রিস্টান স্টাবস। তাতে প্রথম দিন শেষে তিনশ ছাড়িয়ে বড় সংগ্রহের পথে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

চট্টগ্রাম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩০৭ রান। আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হয় ৯ ওভার বাকি থাকতে।

ডি জর্জি ও স্টাবসের দুজনই পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ। সকালে ওপেনিংয়ে নেমে ডি জর্জি অপরাজিত আছেন ১৪১ রানে। তিনি ২১১ বল খেলে মেরেছেন ১০ চার ও ৩ ছক্কা। স্টাবস সাজঘরে ফেরেন ১০৬ রানের ইনিংস খেলে। ১৯৮ বল মোকাবিলায় ৬ চার ও ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি। অধিনায়ক এইডেন মার্করাম আউট হন ৫৫ বলে ৩৩ রানে। ডেভিড বেডিংহ্যাম অপরাজিত আছেন ২৫ বলে ১৮ রানে।

মার্করামের সঙ্গে ডি জর্জির উদ্বোধনী জুটি ছিল ৬৯ রানের। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ২০১ রান যোগ করেন ডি জর্জি ও স্টাবস।

বাংলাদেশের কোনো বোলারই মূলত পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৩০ ওভারে ২ উইকেট নিয়েছেন ১১০ রান খরচায়। অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ২১ ওভার হাত ঘুরিয়ে দিয়েছেন গড়ে সাড়ে চার রান করে। কিছু সুযোগ অবশ্য হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ।

পেসার হাসান মাহমুদের বলে ডি জর্জি ফিরতে পারতেন ৬ রানে। কিন্তু ডি জর্জির দেওয়া ক্যাচ ঝাঁপিয়ে পড়েও গ্লাভসে জমাতে পারেননি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা এই উইকেটরক্ষক পরে তাইজুলের বলে স্টাম্পিং করতে পারেননি স্টাবসকে। তখন স্টাবস খেলছিলেন ২৫ রানে।

পরে আরও একবার জীবন পান ডি জর্জি। ১০৭ রানে থাকতে বেঁচে যান রানআউট হওয়া থেকে। হাসানের বল পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগে পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পায়ে ক্র্যাম্প করায় কিছুটা মন্থর ছিল তার দৌড়ের গতি। ফিল্ডার মাহমুদুল হাসান জয় সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙতে পারলে সাজঘরে ফিরতেন তিনি। স্টাম্পের পাশ দিয়ে যখন বল চলে যায়, তখন ক্রিজ থেকে অনেক দূরে ছিলেন ডি জর্জি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৮১ ওভারে ৩০৭/২ (মার্করাম ৩৩, ডি জর্জি ১৪১*, স্টাবস ১০৬, বেডিংহ্যাম ১৮*; হাসান ০/৪৭, নাহিদ ০/৩৪, তাইজুল ২/১১০, মিরাজ ০/৯৫, মুমিনুল ০/১৫)।

Comments

The Daily Star  | English

Leather legacy fades

As the sun dipped below the horizon on Eid-ul-Azha, the narrow rural roads of Kalidasgati stirred with life. Mini-trucks and auto-vans rolled into the village, laden with the pungent, freshly flayed cowhides of the day’s ritual sacrifices.

17h ago