সাবেক চসিক কাউন্সিলর লিটনের গুদাম থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি সিগারেট স্ট্যাম্প জব্দ

চট্টগ্রাম
আবদুস সবুর লিটন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার রমনা আবাসিকের এক বাসা থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট পেপার ও অবৈধ সিগারেট স্ট্যাম্প জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা এবং কাস্টমস ভ্যাটের একটি টিম।  

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বিশেষ অভিযানে রমনা আবাসিক এলাকার আল ফরিদ ভবন থেকে এসব জব্দ করা হয়।

এ গুদামটির মালিক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) সাবেক কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটন ও তার ভাই আব্দুল মান্নান খোকন।

এ ভবনের পাশেই আপন নিবাসে স্বপরিবারে বসবাস করতেন লিটন ও তার ভাই।

গত জুনে দ্য ডেইলি স্টার 'কাউন্সিলরের অবৈধ সিগারেট বাণিজ্য' নামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর কাস্টমস গেয়েন্দার তৎকালীন মহাপরিচালক ফখরুল আলমকে প্রধান করে একটি অনুসন্ধান কমিটি করে এমবিআর।

এই কমিটির আহবায়ক ফখরুল আলমের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালনা করেন কাস্টমস গেয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক সাইফুর রহমান।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযানে ভবনের নিচ তলায় একটি গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সিগারেট স্ট্যাম্প ও বিদেশি সিগারেট পেপার পাওয়া গেছে।'

গণনা শেষে তিনি জানান, ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার পিস সিগারেট স্ট্যাম্প, ১৪৮টি সাদা বড় রোল, ৪২৫টি সাদা ছোট রোল, ১২৬টি কালো বড় রোল ও ১ হাজার ৩৭টি কালো ছোট রোল জব্দ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, 'এই দুটি কোম্পানি ওরিস ও ইজি লাইটসের মতো বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেটের নকলসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট তৈরি করছে, যা ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে।'

দ্য ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে দেশের অবৈধ সিগারেট বাজারের একটা বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো ও তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো।

এ দুই প্রতিষ্ঠানের বড় অংশের মালিক লিটন ও তার ভাই।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

5h ago