চট্টগ্রাম

সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম

খুচরা বাজারে প্রতি হালি ডিম পাওয়া যাওয়ার কথা ৪৮ টাকায়। কিন্তু এই দামে ডিম পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে আড়তের ভেতরে পর্যাপ্ত ডিমের মজুত। ছবি: স্টার

ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হবে না এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে ডিম বিক্রি শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে ডিমের প্রধান পাইকারি বাজার পাহাড়তলী ডিম আড়তে। তবে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম মিলছে না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। ফলে খুচরা পর্যায়েও ডিমের দাম কমেনি।

মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে ডিম আড়তদার সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাইকারিতে প্রতি হালি ৪৪ টাকা দরে বিক্রির আশ্বাস দেন। সেই অনুযায়ী খুচরা বাজারে এই ডিম পাওয়া যাওয়ার কথা ৪৮ টাকায়। কিন্তু এই দামে ডিম পাচ্ছেন না ক্রেতারা।

আজ সকালে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ডিমের আড়তগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ আড়ত বন্ধ। হাতে গোনা দুই একটি আড়ত খুললেও ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে এই ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আড়তদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বেশি দামে কেনা ডিম সরকার নির্ধারিত দরে কীভাবে বিক্রি করব।

পাহাড়তলী ডিম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর শুক্কুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আড়তে যে ডিম মজুদ আছে তা ব্যবসায়ীদের বেশি দামে কেনা। আমরা যদি সরকার নির্ধারিত দরে কিনতে পারি তবেই সরকারি দরে বিক্রি করতে পারব। খামারিরা সরকারি দামে ডিম বিক্রি করছে না। আড়তদাররা কম দামে কোথায় ডিম পাবে; উল্টো প্রশ্ন করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যেখান থেকে ডিম কিনি সেখানে তো অভিযান পরিচালনা করা হয় না। তাহলে দাম কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে।

নগরীর কাজীর দেউড়ি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. ইকবাল বলেন, আড়তদাররা এখনো ডিমের বাড়তি দাম ধরে রেখেছেন। আমরা সরকারি দরে ডিম পাচ্ছি না। বাজারে অভিযান চালিয়ে আমাদের জরিমানা করা হলে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।

উল্লেখ্য, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গতকাল ডিমের নতুন দর নির্ধারণ করে দেয়। খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ধরা হয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। আর উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা।

Comments