পানি জমে থাকা মাঠে খেলতে চায়নি আর্জেন্টিনা

টানা প্রবল বৃষ্টি কারণে মাঠের প্রায় সব জায়গা জুড়েই জমে ছিল পানি। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে খেলতে হিমশিম খেয়েছেন ফুটবলাররা। ছিল চোটে পড়ার ঝুঁকিও। এমন প্রতিকূল পরিবেশ দেখে খেলতে রাজী ছিল না আর্জেন্টিনা। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে খেলতে বাধ্য হয় তারা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হয়েছে ড্র।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মাতুরিন স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। নিকোলাস ওতামেন্দি সফরকারীদের এগিয়ে দেওয়ার পর সলোমন রনদনের কল্যাণে সমতা টানে স্বাগতিকরা।

তবে ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে সব আলোচনা ওই মাঠের কন্ডিশন নিয়ে। ফিফার নিয়ম বলছে মাঠে পানি জমে থাকলে খেলার কন্ডিশন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রেফারি। আর তার কাছে খেলা এক দিন পিছিয়ে নেওয়ার আবেদন করেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু আধা ঘণ্টা মাঠ পরিচর্যার পর ম্যাচ শুরু করে দেন রেফারি।

ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, মাঠের অবস্থার উপর ভিত্তি করে খেলা চালু রাখা বা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেবেন রেফারি। মাঠের যেকোনো অবস্থা যা খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা বা খেলার মানে প্রভাব ফেলতে পারে, তা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পানি জমা মাঠে চারটি শর্ত (বল গড়ানো, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা, ভিজ্যুয়াল স্পষ্টতা ও খেলার মান) হলেই খেলা চালিয়ে যেতে পারেন রেফারি। আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনির দাবি, 'খেলার শর্ত পূরণ করা হয়নি।'

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথার সময় এই কোচ বলেন, 'এখানে একটাই ব্যাখ্যা আছে, ম্যাচটি খেলার শর্ত পূরণ করেনি, অন্তত আজ। এটা পরিষ্কার। পরে, রেফারি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং এটাই হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে শর্তগুলো পূরণ হয়নি। ... আমি আর বেশি কিছু বলতে চাই না, কিন্তু খেলা সম্ভব হয়নি।'

বাধ্য হয়ে খেলতে নেমে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন খেলোয়াড়রা। কিন্তু সঠিকভাবে পারেননি। মাতুরিনের কন্ডিশন নিয়ে বিরক্ত স্কালোনি আরও বলেন, 'আমরা ভেনেজুয়েলা এবং আর্জেন্টিনা উভয়েরই যা করার ছিল তা করেছি, তবে মাঠটি এই স্তরে দুটি দলের মধ্যে খেলার জন্য উপযুক্ত ছিল না কারণ এটি আগামীকাল খেলা হতে পারতো। কিন্তু তারা চালিয়ে গেছে।'

পরে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসির সঙ্গে আলাপকালে স্কালোনি বিষয়টি নিয়ে আবার কথা বলেছেন। ম্যাচ শুরুর আগে রেফারি তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন মাঠ খেলার উপযোগী না হলে তিনি বন্ধ করে দিবেন। রেফারি কথা রাখেননি বলে জানান এই কোচ, 'রেফারিই এই সিদ্ধান্ত নেন, আমি তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম এবং তিনি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যে বলটি না গড়ালে তিনি ম্যাচ বন্ধ করে দেবেন। এবং বল গড়ায়নি, এটি স্পষ্ট ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

Corruption still a significant obstacle to doing business in Bangladesh: CPD 

Around 17% of businesses identified corruption as biggest challenge, according to a CPD survey 

41m ago