‘রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বলে কিছু নেই,’ পিতার জানাজায় মাহী বি চৌধুরী

মাহী বি চৌধুরী বক্তব্য
মুন্সীগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জানাজার আগে উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশ্যে কথা বলেন মাহী বি চৌধুরী। ছবি: স্টার

বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী বলেছেন, রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বলে কিছু নাই, মর্যাদার মালিক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ ছাড়া কেউ মর্যাদা দিতে পারে না।

আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জানাজার আগে উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাহী বি চৌধুরী বলেন, 'যারা আজ ভালো অবস্থায় আছেন তারা অন্যদের দৌড়ের উপর রাইখেন না। ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্থায়ী না। মানুষকে সম্মান করবেন। তাহলে সম্মান পাবেন। এটাই বি চৌধুরী সাহেবের শিক্ষা। যারাই ক্ষমতায় আসুক, আমরা বি চৌধুরী সাহেবের পরিবার সবসময় মাথা উঁচু করে বিক্রমপুরের মাটিতে এসে দাঁড়াতে পেরেছি।'

তিনি আরও বলেন, 'রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। কিন্তু, জিয়াউর রহমানের ছবিটা এখনও তার বেডরুমে মাথার উপরে রয়েছে। কাজেই, রাজনীতির জন্য বিক্রমপুরের একজনের সঙ্গে আরেকজনের সম্পর্ক যেন নষ্ট না হয়।'

তিনি বলেন, 'আমাদের মনে আছে, ২০০৪ সালে বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে তিনি বলেছেন, ক্ষমতা কোনোদিন চিরস্থায়ী হয় না। কিন্তু, ইজ্জত আল্লাহর বিশেষ দান। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা নিয়ে কেউ নতুন করে কথা বলবেন না। এতে ঝগড়া লাগবে। আমরা নতুন করে ঝগড়া চাই না। তিনি মারা যাওয়ার সময় তার ছাত্র-ছাত্রী, ডাক্তার, নার্স, রাজনৈতিক নেতাকর্মী মিলে এক-দেড়শ লোক উপস্থিত ছিল। তাদের কোলে মাথা রেখে তিনি আস্তে আস্তে আল্লাহর কাছে চলে গেছেন। এমন মর্যাদা, সম্মান রাষ্ট্র দিতে পারবে না।'

আজ সকালে শ্রীনগর উপজেলা স্টেডিয়ামে একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন।

সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহ নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে তার গ্রামের বাড়িতে। সেখানে জোহরের নামাজের পর মজিদপুর দয়হাটায় চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।

 

Comments

The Daily Star  | English

US welcomes Bangladesh election plan

The US yesterday welcomed plans by Bangladesh's interim leader to hold elections next year or in early 2026

1h ago