৫ বছরে মাহী বি চৌধুরীর নগদ টাকা বেড়েছে ৪ গুণ

মাহী বি চৌধুরী
মাহী বি চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

নিজের ও স্ত্রীর কাছে মোট কত টাকার স্বর্ণ ও আসবাবপত্র রয়েছে তা জানেন না মাহী বি চৌধুরী। দ্বাদশ ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তিনি বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

তবে, নিজের কাছে থাকা স্বর্ণের পরিমাণ না জানলেও স্ত্রীর কাছে ৫০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, বিয়েতে উপহার পাওয়ায় স্ত্রীর স্বর্ণের মূল্য কত তা জানেন না মাহী বি চৌধুরী।

সংসদ সদস্য মাহী বি চৌধুরী মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে বিকল্প ধারার প্রার্থী হয়েছেন। খেলাপি একটি ঋণের জামিনদার হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হলেও আপিলে তার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। 

হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, তার ব্যবসা রয়েছে। তিনি ইনফোলিংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এন্টারটেইনমেন্ট রিপাবলিকের প্রোপাইটার। তবে, ব্যবসা থেকে তার আয় কত তা উল্লেখ করেননি।

২০১৮ সালে ব্যবসা থেকে তার বাৎসরিক আয় ছিল ২৩ লাখ টাকার বেশি। তবে, সম্মানি ও ভাতা (সংসদ সদস্যের) হিসেবে তার বাৎসরিক আয় ছিল ২৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

হলফনামা অনুযায়ী, মাহীর নগদ টাকা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। ২০১৮ সালে নগদ নিজের ২৫ লাখ ও স্ত্রীর ৫ লাখ টাকা থাকলেও বর্তমানে তার নগদ আছে ১ কোটি ১৩ লাখ ও স্ত্রীর আছে প্রায় ৮৯ লাখ।

ব্যাংকে জমা ও বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার আছে ২৬ লাখ টাকার বেশি। তবে, ২০১৮ সালে তার ব্যাংকে জমা ও শেয়ার ছিল প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার। এই খাতে তার স্ত্রীর ২০১৮ সালে ছিল ৭২ লাখ টাকা, এবারে তা কমে হয়েছে ২৬ লাখ টাকা।

আগে তিনি ১৯ লাখ ৩০ হাজার টাকার একটি গাড়ি চালাতেন। এখনো তিনি একই গাড়ির মালিক বলে উল্লেখ করেছেন। তবে, ২০১৮ সালে তার স্ত্রীর সাড়ে ৪১ লাখ টাকার একটি গাড়ির কথা উল্লেখ করা হলেও এবারে স্ত্রীর গাড়ির বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। অন্যান্য ক্ষেত্রে তার ও স্ত্রীর আরও ৬১ লাখ টাকা আছে, যা ২০১৮ সালে ছিল প্রায় সাড়ে ৯৪ লাখ।

এছাড়া, ২০১৮ সালে অ্যাভালন এস্টেট লিমিটেডের জমি কিনেছিলেন যার মূল্য সাড়ে ৯ কোটি টাকা এবং আরেকটি সম্পদের মূল্য দেখিয়েছেন প্রায় ৭০ লাখ টাকা।

কিন্তু, ২০২৩ সালের হলফনামায় তিনি কক্সবাজারের পেঁচারদ্বীপে একটি সম্পদের কথা উল্লেখ করে সেটির মূল্য দেখিয়েছেন প্রায় ৭০ লাখ টাকা। আগের সাড়ে ৯ কোটি টাকার জমির কথা উল্লেখ করেননি।

হলফনামায় মাহী ও তার স্ত্রীর কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তার কোনো দায়দেনা নেই।
 

Comments

The Daily Star  | English

4 years could be maximum one can go before election: Yunus tells Al Jazeera

Says govt's intention is to hold election as early as possible

1h ago