‘মালিক গ্রেপ্তারের’ খবরে ৫২ ঘণ্টা পর নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ছাড়লেন শ্রমিকরা

বার্ডস গ্রুপের 'মালিককে গ্রেপ্তার' করার খবরে দীর্ঘ ৫২ ঘণ্টা পর সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন শ্রমিকরা।

আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রমিকদের এ কথা জানানো হলে তারা অবরোধ তুলে সড়ক ছেড়ে বন্ধ কারখানার সামনে অবস্থান নেন।

তিন মাসের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনার দাবিতে গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাভারের বাইপাইল এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। সড়কে শত শত যানবাহন আটকে গেলে চরম ভোগান্তিতে পরেন যাত্রী ও চালকরা।

আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায় গণপরিবহনশূন্য সড়কটিতে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকে আছে।

আটকে থাকা ট্রাক চালকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, অবরোধের কারণে গত তিনদিন তারা সড়কে আটকে আছেন। ভোগান্তির জন্য চালকরা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

দুপুর ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি শ্রমিকদের বলেন, 'আপনারা সড়ক অবরোধ করেছেন এ কারণে হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। আমরা আপনাদের মালিককে গ্রেপ্তার করেছি। আপনাদের পাওনাদি পরিশোধ করা হবে। আপনারা সড়ক ছেড়ে দিন।'

প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা শেষে দুপুর ১টার দিকে শ্রমিকদের বাধা উপেক্ষা করে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা সড়কটিতে যান চলাচল সচল করেন। তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ওই গ্রেপ্তার মালিকের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

সাভার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আলোচনা শেষে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনা দ্রুত পরিশোধ করা হবে।'

বার্ডস গ্রুপের কাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এখনো গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি।'

এর আগে গত ২৭ আগস্ট এক নোটিশে বার্ডস গ্রুপ কর্তৃপক্ষ জানায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে কারখানায় কোনো কাজ নেই। এরপরও কারখানা কর্তৃপক্ষ অব্যাহতভাবে আর্থিক লোকসানের মধ্য দিয়ে ব্যবস্যায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছিল।

এতে আরও বলা হয়, শত চেষ্টা করেও নতুন কার্যাদেশ পাওয়া যায়নি। এটি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

গত ২৮ আগস্ট থেকে গ্রুপটির আর এন আর ফ্যাশনস লিমিটেড, বার্ডস গার্মেন্টস লিমিটেড, বার্ডস ফেডরেক্স লিমিটেড ও বার্ডস এ এন্ড জেড লিমিটেডের সব সেকশনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

কারখানা বন্ধ ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে বিজিএমইএ, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সোমবার গ্রুপটি শ্রমিকদের সব আইনগত পাওনাদি পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা তা না করায় বিক্ষোভে নামেন শ্রমিকরা।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh alleges border abuse by BSF

Those pushed-in allege torture, abuses in India

Several Bangladeshi nationals have alleged that Indian authorities tortured them prior to pushing them across the border.

8h ago