গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ, ১২ কারখানায় ছুটি

পোশাক শ্রমিক
গাজীপুর মহানগরীর বাসন এলাকায় চাকরি প্রত্যাশীদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

আজ বুধবারেও স্বাভাবিক হয়নি গাজীপুরের মহানগরীর পোশাক কারখানার পরিস্থিতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গাজীপুর সদর এলাকায় ১২ কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, টঙ্গী এলাকায় কারখানায় স্থিতিশীল থাকলেও গাজীপুর মহানগরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নেই।

আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিল্পাঞ্চল গাজীপুরে ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ কারখানা খোলা ছিল। তবে মহানগরীর বাসন আঞ্চলিক সড়ক এলাকায় চাকরি প্রত্যাশীরা আন্দোলন করেছেন। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যায়।

এদিকে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে পোশাক শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

পরে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে তাদেরকে বোঝালে দুপুর ১২টায় মহাসড়ক ছেড়ে যান।

আজ সকাল ১০টায় নায়াগ্রা গ্রুপের শ্রমিকেরা গত আগস্টের বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কারখানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করেন।

এতে মহাসড়কের উভয় লেনে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শ্রমিকেরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগস্টের বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। এখন অক্টোবর শুরু হয়েছে। ঘর ভাড়া দেব কীভাবে। আর ২-৩ দিন পর থেকে বাড়িওয়ালা তাগাদা দেবে বাড়ি ভাড়ার জন্য।'

গাজীপুর শিল্প পুলিশের (কালিয়াকৈর জোন) পরিদর্শক নিতাই চন্দ্র সরকার ডেইলি স্টারকে জানান, 'শ্রমিকেরা এইমাত্র মহাসড়ক ছেড়ে দিয়েছেন। সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।'

গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চাকরিসহ অন্যান্য দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ করেছেন। সকাল থেকে ১০-১২টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhanmondi 32 demolition still ongoing

As of 10:00pm, protesters were seen taking apart bricks and rods of the the house using sledgehammers

2h ago